পার্বত্য চুক্তির মৌলিক বিষয়সমূহ বাস্তবায়িত না হওয়ায় পাহাড়ে বাড়ছে ক্ষোভ ও উদ্বেগ

Published: 02 Dec 2019   Monday   
no

no

দীর্ঘ ২২ বছরেও পার্বত্য চুক্তির মৌলিক বিষয়কগুলো বাস্তবায়িত না হওয়ায় পার্বত্যবাসীর চরম উদ্বেগ,ক্ষোভ ও হতাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চুক্তি স্বাক্ষবকারী পক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির(পিসিজেএসএস) দাবী চুক্তির মৌলিক ধারাগুলো অবাস্তবায়িত রয়েছে। তবে সরকার পক্ষ বলছে চুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে। তাই এমনিতর অবস্থায় আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তি পালিত হচ্ছে।

 

পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে চলা সশস্ত্র সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ১৯৯৭ সালের ২ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি সই হয়। চুক্তি মোতাবেক ১৯৯৮সালে জনসংহতি সমিতির তৎকালীন শান্তি বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।


এদিকে, পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী সরকারী পক্ষ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। সরকার পক্ষ বলছে চুক্তির অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে। অর্থাৎ চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা সম্পূর্ন বাস্তবায়িত হয়েছে এবং ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে ও ৯টি ধারার মধ্যে বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে চুক্তির অপর পক্ষের পিসিজেএসএস দাবী করছে ৭২টি ধারার মধ্যে মাত্র ২৪টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে, ৩৪ ধারা সম্পুর্ন অবাস্তবায়িত এবং সরকার ধারা লংঘন করে চলেছে। অবশিষ্ট ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে।


সম্প্রতি পিসিজেএসএস’র সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা) বলছেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত না হলে পার্বত্য সমস্যা সমাধান হবে না। পার্বত্য চুক্তি যাতে বাস্তবায়িত হতে পারে এজন্য সরকারসহ সবাইকে ভাবা উচিত পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যা সমাধানের জন্য তো পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজকে ২২ বছর অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হয়নি। সুতরাং এই মৌলিক বিষয়গুলো যতদিন না বাস্তবায়িত হচ্ছে পার্বত্যাঞ্চলের সমস্যা সমাধান হয়েছে বলে আমরা দাবী রাখতে পারি না।


অপরদিকে পার্বত্য চুক্তির ২২ তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে জনসহতি সমিতির প্রকাশিত এক পুস্তকে দাবী করা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম (উপজাতীয়) অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য তথা জুম্ম জনগণের অস্তিত্ব সংরক্ষণ নিশ্চিত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সাথে সঙ্গতি বিধানকল্পে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রযোজ্য আইনসমূহ সংশোধন করা হয়নি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্বলিত বিশেষ শাসনব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেনি, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি-বাঙালি স্থায়ী অধিবাসীদের প্রত্যক্ষ ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠিত হয়নি।,তিন পার্বত্য জেলার সাধারণ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা, পুলিশ, ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, বন ও পরিবেশসহ ইত্যাদি বিষয়গুলো এখনো তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর করা হয়নি,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন কার্যকর হয়নি,সেটেলার বাঙালি, অস্থানীয় ব্যক্তি ও কোম্পানী, সেনাবাহিনীসহ সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভূমি বেদখল বন্ধ হয়নি এবং বেদখলের ফলে সৃষ্ট ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি,ভারত প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ জুম্ম উদ্বাস্তুদের স্ব স্ব জায়গা-জমি প্রত্যাবাসন র্প্বূক যথাযথ পুনর্বাসন প্রদান না করাসহ ইত্যাদি।


অপরদিকে,রোববার রাজধানী ঢাকার সুন্দরবন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সন্তু লারমা অভিযোগ করে বলেছেন চুক্তি স্বাক্ষরকারী আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ ১১ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার পরও চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়নে এগিয়ে না আসার কারণে জুম্ম জনগণ তথা পার্বত্যবাসীর মধ্যে একদিকে চরম হতাশা, অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে নিরাপত্তাহীন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। চুক্তি মোতাবেক বহিরাগত সেটেলারদেরপার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজনক পুনর্বাসন প্রদান না করে এবং পার্বত্য চুক্তির দুই-তৃতীয়াংশ অবাস্তবায়িত রেখে সরকার উল্টো ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে অব্যাহতভাবে অসত্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রচারণা দেশে বিদেশে চালিয়ে যাচ্ছে। “চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক”, “পার্বত্য চুক্তি শতভাগে বাস্তবায়ন করা হবে”, “চুক্তির অবশিষ্ট বিষয়সমূহ পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হবে” মর্মে বিগত এগার বছর ধরে সরকার কেবল প্রতিশ্রুতি প্রদান করে কালক্ষেপণ করে চলেছে।


সন্তু লারমা আরো দাাবী করে বলেন, সরকার জুম্ম জাতিসমূহকে চিরতরে নির্মূলীকরণে হীন উদ্দেশ্যে যুগপৎ বাঙালীকরণ ও ইসলামীকরণে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে চলেছে। এই উদ্দেশ্যে একই সাথে শাসক দল এবং সরকার ও সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন শাসনবিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, প্রতিরক্ষ বিভাগের একটা বিশেষমহল চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করা, জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বকে ধ্বংস করা ও চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গৃহীত সকল কার্যক্রম প্রতিরোধ করার সর্বাত্মক অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বোপরি ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতৃত্ব সশস্ত্র তাঁবেদার ও দালাল বাহিনীসহ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ যোগসাজশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ গ্রেপ্তার ও জেলে প্রেরণ, গুম ও প্রাণহানি, ক্যাম্পে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ খোঁজার নামে তিন পার্বত্য জেলায় জল পথে ও স্থল পথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট বসিয়ে জনগণকে নানাভাবে হয়রানিকরণ, অশালীন আচরণ, গ্রামাঞ্চলে তল্লাসী অভিযান, ধড়পাকড় ইত্যাদি জোরদার করা হয়েছে।


পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক সাংসদ উষাতন তালুকদার ২২বছর্ওে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় অনাকাংখিত ও দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, পার্বত্য চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। মৌলিক বিষয়ের মধ্যে সাধারন প্রশাসন, আইন-শৃংখলা,পুলিশ, ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, বন ও পরিবেশ, অভ্যন্তরীণ উদ্ধাস্তু ও প্রত্যাগ শরনার্থী ও প্রত্যাগত জনসংহতি সমিতির সদস্যদের পূর্নবাসন করা হয়নি।


তিনি আরো বলেন, চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে আজকে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি জটিলতর থেকে জটিল আকার ধারন করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। বর্তমানে পার্বত্য পরিস্থিতি যেভাবে বিরাজ করছে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছে, বিশ্বাসহীনতায় মধ্য রয়েছে। কি হকে কি হবে এমনতির অবস্থায় মানুষের মধ্যে হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে। তাই এটার একটা দ্রুত সমাধান উচিত সরকারকে বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে।


চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্যদের ও ভারতের প্রত্যাগত শরনার্থীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক আহ্বানে ফিরিয়ে এনে সমাধান হতে পারে। পার্বত্য চট্টগ্রাম একাধিক দল রয়েছে সেগুলো কিছুই না। কিন্তু আইন-শৃংখলা রক্ষার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ও দক্ষ হতে হবে। তাহলে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আমার মতে জুমের চাল আতপ চাল সাত আট দশ তরকারী দিয়ে একটি ভোজ করে কেবল আমাকে চিকেন বিরানী দিলে আমি বলবো যে চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। তাই চুক্তিতে যা লেখা রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা উচিত এবং করলে সারা দেশের জন্য মঙ্গল হবে শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য নয়।


রাঙামাটি আসনের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, আমরা তো বলেনি পার্বত্য শান্তি চুক্তি পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়েছে। পার্বত্য শান্তিচুক্তি একটি চলমান পক্রিয়া। এখানে ‘শতকরার হিসেব করলে তো আর হবে না। চুক্তির অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে। পারস্পারিক আস্থা-বিশ্বাসে ঘাটতি ছিল বলে মৌলিক বিষয়গুলো শুরু করতে পারি নাই। তবে খুব শিগগির শুরু হবে’।


পার্বত্য শান্তি চুক্তি দীর্ঘ ২২ বছরেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমাদেরও দুঃখ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি কেন পূর্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে তার বিশ্লেষন করা দরকার। কারণ আজকে অসংযত বক্তব্যে, নৈরাশ্যমূলক আচরণ, অস্ত্রের ভাষায় কথা বলা, চুক্তির স্বপক্ষের শক্তিকে দুর্বল করে হত্যা করা। এছাড়া বিগত দিনে যারা ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করার দাবী জানিয়েছ তারা আজকে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। একইভাবে বিএনপির শান্তি চুক্তি বিরোধীতা করেছিল আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে চুক্তি স্বপক্ষের শক্তি তারা বিএনপির সাথে উঠাবসা করছে। আজকে যারা শান্তি চুক্তি করেছে তাদের পক্ষে চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব আর চুক্তি যারা বিরোধীতা করছে তাদের পক্ষে চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব না।


২২ বছরেও সমাধান হয়নি পার্বত্য ভূমি সমস্যাঃ
পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যা সমাধানের লক্ষে চুক্তির আলোকে ২০০১ সালের ২০ জুনে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন। তিন বছর মেয়াদে এ ছয়টি কমিশন গঠিত হলেও দীর্ঘ ২২ বছরেও ভূমি বিরোধ সংক্রান্ত একটি কাজও অগ্রগতি হয়নি। গঠিত ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন প্রণীত হলেও ১৯টি ধারার মধ্যে ১৩টি ধারা বিরোধাতœক থাকায় তা সংশোধন নিয়ে সরকার ও পিসিজেএসএস’র মধ্যে ঐক্যমত পৌছতে সময় লেগেছিল। পরবর্তীতে ৬ অক্টোবর ২০১৬ জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন পাস হয়। সংশোধনীত আইনের বিধিমালার খসড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়। কিন্তু এখনো সেই বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি। তাই সবমিলিয়ে কমিশনের অগ্রগতি না থাকায় এখানকার মানুষের মনে হতাশা দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ গত ২৭ নভেম্বর এ কমিশনের রাঙামাটিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি(অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষে এ যাবত পর্যন্ত জমা পড়া আবেদনগুলো যাছাই-বাছাই করে শীঘ্রই শুনান্যী শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন। কমিশনের অন্যতম সদস্য সন্তু লারমাও বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি জটিলতা নিয়ে এখানকার প্রশাসন আইন-শৃংখলা উন্নয়ন ও এখানকার মানুষের জীবনধারাসহ কিছুই জড়িত রয়েছে। পার্বত্য চুক্তির ২২ বছর অতিবাহিত হলেও ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থপনা বিষয়টি এখনো জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করেনি। এখানে অনেক অনেক জটিলতা থেকেই গেছে। তবে ভূমি কমিশন চেষ্টা রাখবে এই জটিলতার মধ্যে কিভাবে ভুমির সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে একটা সুষ্ঠ সমাধান দেয়া যায়।


চুক্তির বর্ষ পূর্তিতে রাঙামাটিতে সমাবেশঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ(২ ডিসেম্বর) সোমবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি আলোচনা সভার আয়োজিত করেছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সাবেক সাংসদ উষাতন তালুকদার। এছাড়া রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে র‌্যালী ও রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন রাঙামাটি আসনের সাংসদ দীপংকর তালুকদার। এছাড়া বিকালে রাঙামাটি মারী স্টেডিয়ামে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত