সাবেক সাংসদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার ৩৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে রোববার রাঙামাটিতে শোক র্যালী ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্মরণ সভায় বক্তারা প্রয়াত নেতা এমএন লারমা আদর্শ ও তার দর্শনকে বুকে ধারণ করে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে আন্দোলন সংগ্রামে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে স্মরণ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম কুমার চাকমা। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেলা শাখার সদস্য নিখোলাই পাংখোয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ বক্তা ছিলেন সাবেক সাংসদ উষাতন তালুকদার, শিক্ষাবিদ প্রফেসর মংসানু চৌধুরী, এমএন লারমা মেমোরিয়েল ফাউন্ডেশসের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, আদিবাসী ফোরামের পার্বত্যাঞ্চল শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা। স্বাগত বক্তব্যে দেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুমন মরামা। শোক প্রস্তাব পাঠ করে জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার তথ্য ও প্রচার বিভাগের সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা।
সভার শুরুতে আন্দোলন সংগ্রামে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জালন করা হয়। এর আগে জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বর থেকে একটি শোকর্যালী বের করা হয়। র্যালীটি বনরুপা ঘুরে আবারও জেলা মিল্পকলা কলা একাডেমী চত্বরে গিয়ে শেষ। পরে সেখানে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ বেদীর এমএন লারমা প্রতিৃকৃতিতে জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পূষ্প্যমাল্য করেন।
বিশেষ বক্তার বক্তব্যে সাবেক সাংসদ উষাতন তালুকদার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে দলাদলি হানাহানি হিংসা বিদ্বেষ দেখা যাচ্ছে। এসব সমস্যাকে সরকারের অনুধাবন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। আত্নজিজ্ঞাসা করে আরো দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে পূর্নমূল্যায়ন করা উচিত। কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ দেশ বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়। পাহাড়ের মানুষ বাংলাদেশেরই অংশ, তারা বাংলাদেশের বাইরে নই। তারা এই দেশের নাগরিক হয়ে স্বাধীনভাবে বেচে থাকতে চাই। তাই পাহাড়ারের মানুষকে সংঘাতে ও বিপদের মধ্যে ঠেলে দেবেন না। তিলটে তাল করবেন না। এখনো সময় রয়েছে বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করার।
তিনি ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত না করে হানাহানি না করে ঐক্যবদ্ধভাবে পাহাড়ের মানুষের অধিকারের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.