রোববার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা উন্নয়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা দাউদ হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শিল্পী রানী রায়, রাঙ্গামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিন’সহ পরিষদের হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনসেবামূলক মনোভাব নিয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করতে আমাদের সকলকে কাজ করে যেতে হবে। জেলার উন্নয়নে একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করতে তিনি সকলকে প্রতিটি জেলা উন্নয়ন সভায় উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান।
সভায় রাঙামাটি পুলিশ বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গেল মাসে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গা পুজা সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারায় তিনি সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, চলতি মাসের আইন শৃংখলা বিষয়ক সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পার্বত্য মন্ত্রী’সহ আইন র্শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আগামী ৭ ও ৮ নভেম্বর রাঙামাটির সর্ববৃহৎ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাজ বন বিহারে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দানোত্তম কঠিন চিবর দান অনুষ্ঠান সুশৃংখলভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, এ জেলাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে পুলিশ প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেকোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড ও মাদক বিক্রী ও সেবনের কোন তথ্য থাকলে তা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।
সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শিল্পী রানী রায় বলেন, পর্যটন খ্যাত এই জেলার বনরূপার কিছু এলাকায় রাস্তায় দু‘পাশ অবৈধভাবে দখল করে দোকান পাট গড়ে তোলা হয়েছে। যার ফলে সর্বক্ষণ যানজট লেগেই থাকে। অবৈধ দোকান উচ্ছেদের বিষয়ে তিনি পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসনকে উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন এবং জেলা প্রশাসন হতে এ বিষয়ে সর্বাত্নক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। তিনি মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাপ্তাই হ্রদে কিছু কিছু জেলে নদীর তলদেশে থাকা গাছের গোড়া কেটে মাছের ডিম পারার স্থল বিনষ্ট করছে যা মোটেই কাম্য নয়। এদের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এ হ্রদ থেকে কাতাল, চিতল, বোয়াল’সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হবে। তিনি বলেন, জেলার প্রতিটি বিভাগের কাজ সুসম্পন্ন করতে তার প্রশাসন সবসময় সহযোগিতার করবে।
রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিন বলেন, রাঙামাটি শহরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পৌরসভা কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া ফুটপাত সৌন্দর্য বর্ধনকল্পে পৌরসভার কাজ চলমান রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.