রাঙামাটিতে হত্যার শিকার যুবকের পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

Published: 09 Oct 2019   Wednesday   

রাঙামাটির মানিকছড়িতে শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত নিহত দিন মজুর  আমজাদ হত্যা মামলায় আসামীদের রক্ষা করতে বাদীর স্বজনদের হয়রানীর অভিযোগ করেছেন মামলার বাদি নিহতের মা জামেনা বেগম।

 

বুধবার রাঙামাটির একটি স্থানীয় পত্রিকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মা অভিযোগ করেন নিহতের মা জামেনা বেগম।

 

সংবাদ সম্মেলনে মৃত আমজাদের বোন রুমা আক্তার, আল আমিনের মা তাসলিমা বেগম, প্রতিবেশী আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মানিকছড়ির কয়েকজন প্রভাবশালীর সাথে আঁতাত করে ওসি তদন্ত এই মামলাটি সম্পূর্নরূপে ধ্বংস করার লক্ষ্যে রিমান্ডের প্রতিবেদনে মূল আসামীদের বাদ দিয়ে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছেন।

 

সংবাদ সন্মেলনে আরো অভিযোগ করে বলা হয়,কোতয়ালী থানার ওসি তদন্ত ও এসআই জাহাঙ্গীর মিলে আসামীদের সাথে যোগসাজস করে মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্ঠা চালাচ্ছে। এই মামলার সুষ্পষ্ট তথ্য-প্রমান থাকা সত্বেও আমার মেয়ের জামাই আল-আমিনকে আটক করে তিন ধরে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে অবশেষে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়েছে। তার ছেলেকে হারিয়ে আমি থানার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরলেও থানা পুলিশ আমার কোনো কথাই শুনছে না। উল্টো তার মেয়ের জামাইকে রিমান্ডে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে জেল হাজতে দিয়েছে পুলিশ। প্রভাবশালী মহল ও থানা পুলিশের কারনে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত  হচ্ছেন বলে জামেনা বেগম। তিনি বলেন, বর্তমানে পুলিশের বিরোধীতার কারনে আমার মেয়ের জামাইকে জামিনও নিতে পারছেন না তিনি।

 

সংবাদ সন্মেলনে নিহতের স্বজনরা বলেন,তাদের সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘরের ভেতরে লাশ রেখে দেওয়ার ঘটনায় শ্বশুর-শ্বাশুরী ও স্ত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে মামলার তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা কোতয়ালী থানার এসআই জাহাঙ্গীর ও ওসি তদন্ত খান নুরুল ইসলাম কোনো ভূমিকা নেননি। বিষয়টি ইতিমধ্যেই আদালতের দৃষ্টিগোচর হলে আদালত পুলিশের গাফিলতি পরিলক্ষিত করে মামলাটির কর্মকর্তা পরিবর্তন করে পুনরায় তদন্তের আদেশ প্রদান করেন। বর্তমানে এই মামলা তদন্ত করছেন থানার ওসি তদন্ত খান নুরুল ইসলাম।

 

এদিকে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহেদুল হক রনি জানান, হত্যা মামলাটি দায়েরের পর তিনি বিষয়টি তদারকি করছেন। তার তদারকি কালীণ সময়ে আটককৃত আল-আমিন উক্ত মামলার সাথে সম্পৃক্ত আছে এই ধরনের কোনো তথ্য আমার কাছে প্রতিয়মান হয়নি।

 

উল্লেখ্য, গেল ৩০ জুলাই  রাঙামাটি শহরের প্রবেশমুখ মানিকছড়িতে শ্বশুর বাড়ি থেকে আমজাদ হোসেন নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। ঘটনার দিন পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছে নিহতের স্ত্রী ও শাশুরী নানা রকম তথ্য দিলে এলাকাবাসীর চাপের মুখে পুলিশ আমজাদের স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুরীকে আটক করে। নিহতের মা জামেনা বেগম বাদি হয়ে এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত