জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর-রশিদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ফাউন্ডেশন যে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এই ধরনের কর্মকান্ডের ফলে শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সুনাগরিকের ভুমিকা অপরিসীম। আর দেশপ্রেমিক সুনাগরিক সৃষ্টিতে কাজ করছে বীরশ্রেষ্ঠ ফাউন্ডেশন। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ফাউন্ডেশনের কর্মকান্ডের ভুয়ষী প্রশংসা করে বলেন, আগামীতে এই ফাউন্ডেশনের যে কোনো কর্মকান্ডে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
শুক্রবার দুপুরে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ফাউন্ডেশনের সাথে মতবিনিময় সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ এসব কথা বলেন। রাঙামাটি সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ সাজাহান মিয়া ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা ও পরিচালক ইয়াছিন রানা সোহেল। মতবিনিময় সভা শেষে অতিথিদ্বয়কে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
এছাড়াও রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা ও জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ উপাচার্যের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সকালে উপাচার্য নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ’র সমাধিস্থল পরিদর্শন করেন এবং সেখানে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠের দেহাবশেষ সমাধিস্থ করা দয়াল কৃষ্ণ চাকমার সাথেও কথা বলেন। এছাড়াও খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সেখান থেকে ফিরে শহরের রিজার্ভ বাজারে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত শহীদ এম আবদুল আলী’র স্মৃতি বেদী পরিদর্শন করেন। একই সাথে শহীদ আবদুল আলী একাডেমি পরিদর্শন করেন। এসময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাজী মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষানুরাগী সদস্য মোঃ শাওয়াল উদ্দিন, সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ মুসলিম উদ্দিন ও অন্যান্য শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.