রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার উত্তর বঙ্গলতলী এলাকায় দুর্বৃত্তরা মিশন চাকমা(৩০) নামের এক গ্রামবাসীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ধারনা করছে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে।
এদিকে সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতি ও প্রতিপক্ষ ইউপিডিএফ নিহত মিশন চাকমাকে তাদের সমর্থক দাবী করে এ ঘটনার জন্য পরষ্পরকে দায়ী করছে।
বঙ্গলতলী ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞান জ্যোতি চাকমা জানান,উত্তর বঙ্গলতলী এলাকার বাসিন্দা মিশন চাকমা এক মহাজনের কাছ থেকে জঙ্গল থেকে বাঁশ টাকার জন্য অগ্রিম এক লাখ টাকা নিয়ে আসেন। বুধবার স্থানীয় দোকানে বাশঁ কাটার অগ্রিম ওই এক লাখ টাকা তিনি আরো ১০ থেকে ১৫ জনকে ভাগ করে দেন। সন্ধ্যার সাড়ে ৭টার দিকে মিশন চাকমা দোকান থেকে বাসার ফেয়ার পথে দুর্বৃত্তরা গাছ দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এসময় স্থানীয় লোকজন তার চিৎকরা শুনতে পায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় মিশন চাকমার মৃত দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। ঘটনাস্থলের দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত লাঠি ও দুই জোড়া স্যান্ডেল দেখা গেছে। ধারনা করা হচ্ছে এই হত্যাকান্ডে দুই জন অংশ নিয়েছিল এবং টাকার জন্য এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
তিনি আরো জানান, ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছেন। তবে স্থানীয় গ্রামবাসীরা মিশন চাকমার লাশ ময়নাতদেন্তর জন্য লাশ হাসপাতালে যেতে দেয়নি। অবশ্যই পরে লাশ ময়নাতদেন্তর জন্য পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে গ্রামবাসীরা।
এদিকে, সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতি উপজেলা কমিটির সভাপতি সুরেশ কান্তি চাকমা নিহত ব্যক্তি তাদের সমর্থক দাবী করে এ হত্যাকান্ডের জন্য প্রতিপক্ষ ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে। তবে ইউপিডিএফের মূখপাত্র মাইকেল চাকমা এক বিবৃতিতে মিশন চাকমাকে তাদের সমর্থক দাবী করে সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতিকে হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী করেছেন।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমীর হোসেন জানান, মিশন চাকমা নামের এক ব্যক্তি নিহতের হওয়ার খবর শুনার পর বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.