ইউপিডিএফ নেতা মিঠুন চাকমা হত্যার ঘটনায় জনৈক অনি বিকাশ চাকমা’র দায়ের করা মামলায় তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা)। একই সাথে মামলা থেকে নেতাদের নাম প্রত্যাহার করার দাবিতে শুক্রবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলাশহর এবং উপজেলা সদরসমূহে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোঘণা করা হয়েছে।
খাগড়াপুর কমিউনিটি সেন্টারে জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা এসব তথ্য জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত তৎপরতার সাথে তদন্ত কাজ চালাচ্ছে। এবং পুলিশ অবশ্যই অপরাধীদের সঠিকভাবে সনাক্ত করতে পারবে। কিন্তু এরপরও পুলিশের তদন্তকে আড়াল করার জন্য অহেতুক মিথ্যা অভিযোগে জনসংহতি সমিতির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং রাজনৈতিক হয়রানিমূলক।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল কান্তি চাকমা, কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক বিভু রঞ্জন চাকমা, কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক প্রীতিময় চাকমা, কেন্দ্রীয় সদস্য সোহাগ চাকমা ও নরেশ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সংগঠনটির নেতারা দাবি করেন, তাঁরা ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের বিপক্ষে। জনসংহতি সমিতি (সন্তু লারমা) এবং ইউপিডিএফ’র হাতে তাঁদের চল্লিশের অধিক নেতাকর্মী মারা গেলেও তাঁরা কাউকে আঘাত বা প্রতিঘাত করেননি।
উল্লেখ্য, ৩ জানুয়ারী দুপুরে ইউপিডিএফ নেতা মিঠুন চাকমাকে তাঁর বাড়ির কাছেই দূর্বৃত্তরা গুলী করে হত্যা করে। এ ঘটনার চারদিনের মাথায় ৬ জানুয়ারী প্রথমে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। গত ৯ জানুয়ারী অনি বিকাশ চাকমা নামের এক ব্যক্তি মিঠুন চাকমা’র আত্মীয় পরিচয়ে জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা)-র চার প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতা এবং ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)-এর ১৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো একটি মামলা দায়ের করে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.