এমএন লারমার ৩৪ মৃত্যূ বার্ষিকী উপলক্ষে জুরাছড়িতে প্রভার ফেরী ও স্মরণ সভা

Published: 10 Nov 2017   Friday   

শুক্রবার প্রয়াত সাংসদ মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার(এমএন লারমা) ৩৪ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে জুরাছড়িতে প্রভাত ফেরী ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 

উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য উদয়ন ত্রিপুরা। জুরাছড়ি উপজেলা শাখা জনসংহতি সমিতির সভাপতি মায়া চান চাকমা সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান উদয় জয় চাকমা, জেলা জনসংহতি সমিতির ভূমি ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রনজিৎ দেওয়ান, রাঙামাটি জেলা পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুধন চাকমা, এড়াইছড়ি মৌজার হেডম্যান রিতেশ চাকমাসহ উপজেলার গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, হেডম্যান করুনা ময় চাকমা, আদিবাসী ফোরামের নেতা সুরেশ কুমার চাকমা, উপজেলা যুব সমিতির সভাপতি সুজিত চাকমা প্রমূখ। স্মরণ সভা সঞ্চালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্র নেতা সুমিত চাকমা। এর আগে ভোরে প্রভাত ফেরী ও উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মানেবেন্দ্র নারায়ন লারমা অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পনে বিনম্্র শ্রদ্ধা করে জনসংহতি সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন।


স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, একটি শোষণহীন সমাজের স্বপ্ন দেখতের মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা। যেখানে পাহাড়ী-বাঙালি সব নাগরিকের মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বাচঁতে পারবে। গণপরিষদে বার বার দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি, প্রকৃতির প্রতি ভালবাসার কথা তিনি বলেছেন। কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ, রিকশাচালক, নৌকার মাঝি, নারীর অধিকারসহ সব ধরনের অধিকারের কথা তিনি বলেছেন।


বক্তারা পার্বত্য এলাকার মানুষ বসত ভিটা হারিয়ে সর্বহারা জীবন যাপন করছে। সর্বশেষ লংগুদুর সাম্প্রদায়িক অগ্নিসংযোগের ভূমি আগ্রাসনের ষড়যন্ত্র করছে। যথা দ্রুত চুক্তি বাস্তবায়ন করা না হলে পার্বত্য এলাকার বিরূপ পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী থাকতে হবে বলে বক্তারা হুশিয়ার করেন।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে উদয়ন ত্রিপুরা বলেন, দেশের সংবিধান জাতিধর্ম-নির্বিশেষে বাংলাদেশের আপামর জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করবে এবং সব ধরণের জাতিগত-শ্রেণীগত নিপীড়ন, শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটাবে। কিন্ত এম এন লারমার তাঁর সেই স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি।


তিনি আরো বলেন, মানেবেন্দ্র নারায়ন লারমা আশা করেছিলেন, জাতিগত নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী বাঙালি নেতৃত্ব জুম্ম জাতির শত বছরের বেদনা বুঝবেন। তারই আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে তিনি গণপরিষদে বারবার আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি তুলে ধরেন। কিন্ত সংসদ ও সংবিধান প্রণয়নকারীরা তাঁর দাবি আসল মর্মার্থ না বুঝতে পেরে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত