খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আ’লীগের প্রতিপক্ষের হামলায় শ্রমিকলীগ ও যুবলীগের দুই নেতা গুরুতর আহতের ঘটনায় ২৮জনের নাম উল্লেখ ১০ থেকে ১২জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, হামলা ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে দাবিতে বৃহস্পতিবার দিন ব্যাপী অবরোধ কর্মসুচি ডাকলেও দুপুর ১টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকালে পানছড়ি বাজারের প্রধান সড়কে অবস্থানকালে খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সমর্থিত উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন(৩০) ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সফিকুল আলম(৩৫)’র উপর খাগড়াছড়ির মেয়র সমর্থিত লোকজন এ হামলা চালায়। গুরুতর অবস্থায় হেলালকে চট্টগ্রাম মেডিকেল এবং সফিকুল খাগড়াছড়ি হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনার পরপর হামলাকারীদেও গ্রেফতারের দাবীতে এমপি’র সমর্থিত দলীয় নেতাকর্মীরা উপজেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে এবং বুধবার সকাল সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি ডাকা হয়।
জানা যায়, খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আ’লীগের প্রতিপক্ষের হামলায় শ্রমিকলীগ ও যুবলীগের দুই নেতা গুরুতর আহতের ঘটনায় ২৮জনের নাম উল্লেখ ১০ থেকে ১২জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে বুধবার রাতে আহত হেলালের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার তাসছিলা বাদী হয়ে পানছড়ি থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
এদিকে,ঘটনায় প্রতিবাদে পানছড়ি উপজেলা আ’লীগ ও তাঁর অংগ সংগনের ডাকে বৃহস্পতিবার আধা বেলা অবরোধ পালিত হয়েছে। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের জন্য যান চলাচল উম্মুক্ত থাকলেও রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা ও সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সকল দোকানপাট ছিল বন্ধ।
পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: বাহার মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাথ দেব জানান,খাগড়াছড়ির মেয়র সমর্থিত লোকজন পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালায়। তাদের অভিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের ডাকা হয়। তবে প্রশাসনের আশ্বারের প্রেক্ষিতে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান মামলার সত্রতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.