দেশের সবচেয়ে কম মূল্যের উন্নত হেডলাইটিং সিস্টেম এন্ড সেফটি টেকনোলজি উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট( বিএসপিআই) কাপ্তাইয়ের অটোমোবাইল প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত হেডলাইটিং সিস্টেম এন্ড সেফটি টেকনোলজি হলো মূলত রাতের বেলায় হাইবিম লাইট কন্ট্রোলিং সমস্যার কারণে প্রতিবছর অনেক সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে থাকে। এ সমস্যা নিরসনেই তাদের এই গবেষণা কার্যক্রম। বর্তমানে এ প্রযুক্তি উন্নত গাড়িতে ব্যবস্হা থাকলেও বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে ম্যানুয়াল অপারেটেড গাড়ি গুলোতে অটো হাইবিম টেকনোলজি ব্যবহার করতে হলে খরচ গুণতে হবে প্রায় ৮ হাজার টাকা। কিন্তু এই তরুণ উদ্ভাবকেরা একই প্রযুক্তি সেবা দিতে পারবে মাত্র ৫০০ টাকায়।
উদ্ভাবক দলের একজন সদস্য বিএসপিআই এর ৪র্থ বর্ষের ছাত্র পিয়াল বড়ুয়া জানান, এই প্রযুক্তিটি আরো কম মূল্যে উৎপাদন করার লক্ষ্যে বি.এস.পি.আই অটোমোবাইল বিভাগের অধীনে আরো গবেষণা চলছে।
উদ্ভাবক দলের আরেকজন সদস্য ও রিসার্চ টিম লিডার ৪র্থ বর্ষের ছাত্র আনোয়ার হোসেন জানান প্রযুক্তিটি খুব শীঘ্রই তারা যত সম্ভব কম মূল্যে বাজারজাত করনের উদ্দেশ্য পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করবেন।
বিএসপিআই এর অটোমোবাইল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সেলিম আফ্রাদ জোয়ারদার জানান এই প্রথম বাংলাদেশে পলিটেকনিক হিসেবে বি.এস.পি.আই এর অটোমোবাইল বিভাগের তত্বাবধানে কোন গবেষণাধর্মী কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আমরা এই প্রযুক্তিটি আরো সুলভ মূল্যে উৎপাদন করার জন্য আমাদের রিসার্চ টিম গবেষণা করে যাবে। গবেষণার যেকোন ধরনের সহযোগীতায় অটোমোবাইল বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করা হবে।
গবেষণা পরিচালনায় আরোও সহায়তা করেন অটোমোবাইল বিভাগের শিক্ষক প্রকৌশলী রহমত উল্লাহ এবং প্রকৌশলী আব্দুল আলী। গবেষণা দলের সদস্যরা হলেন আনোয়ার হোসেন(রিসার্চ টিম লিডার),পিয়াল বড়ুয়া(৪র্থ বর্ষ),সাদিয়া সুলতানা এ্যানি(৩য় বর্ষ),হিসবুল্লাহ(৪র্থ বর্ষ),মো:শহীদুজ্জামান(৪র্থ বর্ষ)।
উদ্ভাবিত হেডলাইটিং সিস্টেম এন্ড সেফটি টেকনোলজি এর বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত স্কিলস কম্পিটিশন ২০১৭ তে ২১ টি প্রজেক্টের মধ্যে সর্বপ্রথম স্হান দখল করেছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.