খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যম বোয়ালখালি এলাকায় এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম ইন্দ্রা দেবী চাকমা(৫৫)। এ ঘটনায় ঘাতক আলাউদ্দিন (৬৫)-কে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে স্থানীয়রা।
এদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল ১০টায় দীঘিনালা উপজেলার মধ্যম বোয়ালখালীর গোপাল মেম্বার পাড়ায় একটি জমিতে ইন্দ্রা দেবী চাকমা নাড়া (ধান তোলার পর ধান গাছের অবশিষ্ট অংশ) কাটতে জমিতে যান। এ সময় আলাউদ্দিন ইন্দ্রাকে বাধা দিলে দুজনরে মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আলাউদ্দিন ধারল অস্ত্র দিয়ে ইন্দ্রা দেবী চাকমাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থলে ইন্দ্রা দেবী চাকমার মৃত্যু ঘটে। নিহত ইন্দ্রা দেবী চাকমা ৪ সন্তানের জননী। তার স্বামীর নাম মৃত সুরতী চাকমা। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ঘাতক আলাউদ্দিনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা আরো জানায়, ধান চাষ হওয়া এই জমিটি ছিল স্থানীয় পাহাড়িদের। এ জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেছিলেন আলাউদ্দিন। জমি থেকে ফসল ঘরে তোলা হলে জমিতে শুধু নাড়া অবশিষ্ট ছিল। ইন্দ্রা দেবী চাকমা সেই নাড়া আনতে গেলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর এ ঘটনা ঘটেছে।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামছুদ্দিন ভূইয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় সকল ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে দীঘিনালায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। সমাবেশ থেকে ঘাতকের ফাঁসি দাবী করা হয়।
অপরদিকে শনিবার সকালের দিকে খাগড়াছড়ি সদরের কলাবাগান এলাকায় পারভীন বেগম (২০) অপর এক গৃহ বধু বিষপানে শনিবার সকালে আত্মহত্যা করে। তার স্বামীর নাম সুমন মিয়া (২৭)।স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় পারভীন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.