রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুর্নবাসনের লক্ষে ত্রাণ বিতরণ

Published: 05 Sep 2017   Tuesday   

রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুর্নবাসনের লক্ষে মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ টাকাসহ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আশ্রিতদের আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে বলা হয়েছে।


রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুর্নবাসনের লক্ষে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান। এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সাঈদ মো. তারিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু শাহেদ চৌধুরী, রাঙামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. জসিম উদ্দিন বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পৌর সভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ১৪০ পরিবার এবং ৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা ২৬৩ পরিবারকে পরিবারকে ৬ হাজার টাকা,দুই বান্ডেল ঢেউ টিন ও ৩০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়। এছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে এক হাজার ও ২০ কেজি চাউল বিতরণ করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।


বিতরনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র পরিচালানা করা দুরুহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারি বরাদ্দ শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় কোনো মতেই আশ্রয় কেন্দ্র চালানো সম্ভব নয়। তাই জমা রাখা ত্রাণ থেকে এসব সহায়তা দিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে বলা হয়েছে। ত্রাণ পাওয়ার পর আশ্রিতরা ঘরমুখী হবেন। ঝুঁকিপূর্ণ বা বিধ্বস্ত ভিটায় ঘর তৈরী না করে নিরাপদ স্থানে ঘরবাড়ি তৈরীর জন্য তিনি অনুরোধ জানান।


এদিকে ত্রাণ বিতরণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, গেল ১৩ জুন পাহাড় ধসের ঘটনায় শহরসহ জেলায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ১২৩১ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৯ হাজার ৫৩৭। জেলায় এসব ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ৭৭৬ টন চাল, নদদ ১ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার, ৫০০ বান্ডেল ঢেউ টিন এবং গৃহ নির্মাণ ব্যয় মঞ্জুরি বাবদ ১৫ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে।

 

অপরদিকে, ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, সামান্য এ ত্রাণ নিয়ে কোথায় যাবেন, কী করবেন তা কিছুই বুঝতে পারছেন না তারা। তারা বাড়িভিটা বিধ্বস্ত হয়ে এখন সর্বহারা। এখন সামান্য এই ত্রাণ দিয়ে আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে বলে দেয়া হচ্ছে। সরকার পুনর্বাসনের আশ্বাস দেয়ায় এত দিন তার অপেক্ষায় আশ্রয় কেন্দ্রে ছিলেন। কিন্তু এখনো তাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছুই বলা হচ্ছে না। প্রশাসন থেকে এখনও সেই একইভাবে উপযুক্ত জায়গা খোঁজা এবং সরকার বরাদ্দ দিলে পরবর্তীতে পুনর্বাসন করার কথা বলা হচ্ছে।


উল্লেখ্য, গেল ১৩ জুন রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যু হয় জেলা প্রশাসনের হিসাব মতে প্রায় ১৮ হাজার ৫শ ঘর বাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে সম্পুর্ন বিধস্ত হয় ১২শ ঘরবাড়ি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত