বৃহস্পতিবার থেকে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় আশ্রিতদের নতুন আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তর করতে শুরু করেছে প্রশাসন। বর্তমানে ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে জেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়, মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয়,ভেদভেদী উচ্চ বিদ্যালয়, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন উপকেন্দ্র রাঙামাটি থেকে নতুন আশ্রয় কেন্দ্র রাঙাামাটি স্টেডিয়াম ও জিমনেসিয়ামে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে বর্তমানে দুই হাজার ১৪৭ জন অবস্থান করছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাকী আশ্রিতদের রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের নবনির্মিত হোস্টেলে নিয়ে যাওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সন্ধ্যায় পাহাড় ধসের ঘটনায় একমাস উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং-এ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান এসব কথা জানান।
সংবাদ সন্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আবু শাহেদ চৌধুরী ও সহকারী কমিশনার ইফতিকার উদ্দীন আরাফাত।
প্রেস ব্রিফিং-এ জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাস প্রসঙ্গনে বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসনের জন্য উচ্চ পর্যায়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ কমিটি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্থদের টেক্সসই পূর্নবাসনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
একই প্রেস বিফ্রিং-এ জেলা প্রশাসক আরো বলেন, লংগদু সংঘঠিত সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনদের যথাযথ পূনূবাসনের জন্য সরকার একটি বিশেষ পুর্ণবাসন প্রকল্প গ্রহন করেছে। বুধবাার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ২১৩ পরিবারকে চাল, ঢেউটিন, কম্বল বিতরন ও নগদ ৬ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছ।
উল্লেখ্য,গেল ১৩ জুন ভারী বর্ষনে পাহাড় ধসে রাঙামাটি সদর,জুরাছড়ি,কাপ্তাই,কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় দুই সেনা কর্মকর্তা ও তিন সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.