সোমবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী শিশুর মাতৃভাষা ভিত্তিক বহুভাষিক শিক্ষার বর্তমান চিত্র শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আশিকা সন্মেলন কক্ষে স্ট্রাাটেজিক এ্যাকশন সোসাইটি’র(সাস) আয়োজনে ও গণ স্বাক্ষরতা অভিযানের সহযোগিতায় মতবিনিময় সভার উদ্ধোধক ছিলেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়। গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উর্দ্ধতন উপকার্যক্রম ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আবু সাঈদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা ও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মফিদুল ইসলাম প্রমুখ। মতনিমিয় সভায় পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী শিশুর মাতৃভাষা ভিত্তিক বহুভাষিক শিক্ষার বর্তমান চিত্র শীর্ষক প্রবন্ধ ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.সৌরভ সিকদার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাস’র নির্বাহী পরিচালক ললিত সি চাকমা।
দিন ব্যাপী মতবিনিময় সভায় শিক্ষাবিদ, একনজিও কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আদিবাসী শিশুদের জন্য নিজ মাতৃভাষার শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছে তা প্রশংসনীয় উল্লেখ করে বলেন, মাতৃভাষায় প্রশিক্ষিক শিক্ষক না থাকায় নিজ মাতৃভাষার শিক্ষা কার্যক্রমে সাফল্য নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তারা এ জন্য তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে যথাযথ ভূমিকা, প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ, বহুভাষিক শিক্ষার জন্য আদালাদা বাজেট প্রনয়ন ও তিন পার্বত্য জেলায় ভাষা কেন্দ্র স্থাপনের পরামর্শ দেন।
উদ্ধোধকের বক্তব্যে চাকমা সার্কেল চীফ দেবাশীষ রায় বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে মাতৃভাষায় শিক্ষায় শিক্ষা না পাওয়ার কারণে বিদ্যালয় থেকে আদিবাসী শিশুদের ঝড়ে পড়ার অন্যতম কারণ। এক্ষেত্রে সরকার মাতৃভাষায় বহুভাষিক শিক্ষা চালু করাটা একটা ভাল অর্জন। তিনি মাতৃভাষায় বহুভাষিক শিক্ষার জন্য প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ,শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.