পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা এবং সমাজ উন্নয়নে কাজ করার জন্য মঙ্গলবার রাঙামাটিতে ৩ জন আদিবাসী মেধাবী শিক্ষার্থী নারীদের কামলা ভাসীন ফেলোশীপ পুরুস্কার দেয়া হয়েছে।
শহরের জেল রোডস্থ মোহনপুরী ভবনে সাপোর্টিং পিপলস এন্ড রিবিউল্ডিং কমিউনিটিস(স্পার্কস) এর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মানবাধিকার কর্মী ও নিজেরা করি নির্বাহী পরিচালক খুশী কবির। স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা স্পার্কস-এর নির্বাহী পরিচালক মুক্তাশ্রী চাকমা সাথীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মানবধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল। অনুষ্ঠানে ফেলোশীপ পুরুস্কার পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী রেনেসা চাকমা ও দৈবকি ত্রিপুরা নিজের অনুভূতি কথা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় এবং সমাজ উন্নয়নে কাজ করার জন্য ৩ জন আদিবাসী মেধাবী শিক্ষার্থী নারীদের কামলা ভাসিন ফেলোশীপ পুরুস্কার প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির বলেন, কামলা ভাসিন ফেলোশীপ পুরুস্কারটি ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও চলাফেরার সাহস ও সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ৭২ সাল থেকে কামলা ভাসিন ভারতসহ অন্যান্য দেশে দরিদ্র ও বঞ্চিত নারীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কামলা ভাসিন তার জীবনে অনেক সংগ্রাম ও কষ্ট করেছেন। তাই সংগ্রাম ও কষ্টকে সবাইয়ের মাঝে শক্তি হিসেবে পরিণত করতে এই কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ফেলোশীপ পুরুস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীদের সুন্দর জীবন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তাদের পাশে সব সময় থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
স্পার্কস-এর নির্বাহী পরিচালক মুক্তাশ্রী চাকমা সাথী বলেন, কামলা ভাসিন ফেলোশীপ পুরুস্কার সারাদেশের জন্য। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষুদ্র পরিসরে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বেছে নিয়ে ৩ জনকে কামলা ভাসিন ফেলোশীপ পুরুস্কার শুরু করা হয়েছে। তিনি এ পুরুস্কার শুধু মেধার ভিত্তিতে নয় যারা সমাজকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে এবং নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন বিশেষ করে তাদেরকে এ ফেলোশীপ পুরুস্কার দেওয়া হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.