জুরাছড়িতে ভূয়া সাংবাদিকের উৎপাত-শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

Published: 31 Dec 2016   Saturday   

গেল ২৯ ডিসেম্বর হিলবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকম-এর জুরাছড়িতে ভূয়া সাংবাদিকের উৎপাত শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জুরাছড়ি উপজেলা অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি সত্য প্রিয় চাকমা। 


প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, জুরাছড়ি উপজেলা অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি সত্যপ্রিয় চাকমা স্থানীয় একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক এবং অন্যান্য সদস্যদের বিভিন্ন পেশা ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা হাস্যকর। উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক কিংবা অন্য পেশায় কাজ করলে সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করা যাবে না এমন ধরনের আইন দেশের প্রচলিত আইনগুলিতে কোন জায়গায় লেখা রয়েছে তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। উপজেলার সাধারন জনগণের দুঃখ দুর্দশার কথা স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের দৃষ্টি গোচরের লক্ষ্যে দুর্গম এলাকার উন্নয়নের ধারা থেকে পিছিয়ে পরা জনসাধারনের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বস্তুন্ষ্ঠি সংবাদ প্রকাশে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ উদয়মান সংবাদ কর্মীদের পেশাগত কাজে উৎসাহ দেওয়ার পরিবর্তে ভুয়া সাংবাদিক বলে নিরুৎসাহিত করার পেছনে সুদুরপ্রসারী ষড়যন্ত্র রয়েছে।


প্রতিবাদলিপিতে সত্য প্রিয় চাকমা দাবী করেছেন, গঠিত জুরাছড়ি উপজেলা অনলাইন প্রেস ক্লাব এবং উদীয়মান সংবাদ কর্মীদের উদ্দেশ্য অত্যন্ত সৎ ও মহৎ। উপজেলার উন্নয়নমুখী সঠিক সংবাদ গণমাধ্যমে তুলে ধরা।


প্রতিবাদলিপিতে আরো বলা হয়, উক্ত সংবাদটি প্রতিবেদক সুমন্ত চাকমা ব্যক্তিগত ঈর্ষার কারনে কোন ধরনের সঠিক তথ্য না জেনে এমন ধরনের বানোয়াট ও মনগড়া ব্যক্তিগতভাবে সম্মান হানিকর সংবাদ প্রেরন করেছেন। মুলতঃ আমাদের জুরাছড়ি উপজেলা অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক সদস্যগণ কোথায় কখন এবং কার কাছে সাংবাদিকতার ভুয়া পরিচয় দিয়েছেন প্রতিবেদক তার প্রতিবেদনে প্রকাশ করেননি। জুরাছড়ি অনলাইন প্রেস ক্লাবের উদীয়মান প্রগতিশীল অনলাইন সাংবাদিকগণ প্রেস ক্লাব গঠনে ঈর্ষান্বিত হয়ে তিনি বিব্রতবোধ করছেন বলে দাবি করেছেন।


প্রতিবাদলিপিতে সত্য প্রিয় চাকমা আরো দাবী করেন, জুরাছড়ি স্থানীয় প্রগতিশীল সংবাদিক বন্ধুদের বিব্রতকর অবস্থার কোন কারন আমরা দেখছি না। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলায় কোন প্রেস ক্লাব অথবা অনলাইন প্রেস ক্লাব ছিল না। যা ইতিমধ্যে আমরা সর্বপ্রথম গঠন করেছি।সাংবাদিকতা পেশা কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়, আর এই পেশায় সুমন্ত চাকমা’র অনুমতি নিয়ে আসতে হবে এটা সাংবাদিকতার নীতিমলায় কোথাও লেখা নাই।


সংবাদের প্রতিবেদক সুমন্ত চাকমা যে সমস্ত সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেন তাতে কয়টি সাংবাদ মাধ্যম থেকে তিনি বেতন পান এবং নিজে যে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেন তার বৈধতা কি? সুমন্ত চাকমা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ও জেলা পর্যায়ের সিনিয়র সাংবাদিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে ভুয়া কার্যকলাপে জড়িত বলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ রয়েছে।


প্রতিবালিপিতে দাবী করা হয়, সাংবাদিকতা পেশা একটি মহৎ পেশা। এই মহৎ পেশার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিবেদক সুমন্ত চাকমা জুরাছড়ি উপজেলায় সরকারি, বেসরকারি, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড যেমন রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল, বৌদ্ধ মন্দির,টিআর,খাবিকা ও কমিউনিটি সেন্টার কাজ চলাকালীন সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে চাদা আদায়ের করেছেন বলে নিরাপত্তার স্বার্থে ভুক্তভোগিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেছেন এমনকি বৃদ্ধ ভাতা ও বিধবা ভাতা উত্তোলনের সময় সুমন্ত চাকমাকে টিপ সহির মাধ্যমে চাঁদা দিতে হয় বলে অনেক নিরীহ বৃদ্ধ ও বিধবারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন। কিন্তু একটি রাজনৈতিক সংগঠনের পরিচয় দিয়ে সকলকে হুমকি প্রদান করেন বলে তার চাঁদাবাজির সংবাদ গণমাধ্যম এবং কারো কাছে মুখ খুলতে সাহস পায়না বলে জানান স্থানীয় ও ভুক্তভোগিরা।


প্রতিবেদকের বক্তব্য: 
প্রেস ক্লাব গঠন হোক আমরা স্বাগত জানাই। তবে মনে রাখা উচিৎ প্রেস মেনের জন্য প্রেস ক্লাব। প্রবীন সাংবাদিক রাঙামাটির প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সুনীল কান্তি দে বক্তব্য। প্রতিবেদনে উল্লেখিত কমিটির সদস্য সচিব মহা রঞ্জন চাকমা ও সদস্য ধন রতন চাকমা কোন পত্রিকায় জরিত নেই বলে স্বীকার করেছেন। প্রতিবেদনে অনুমোতি নিতে হবে কিংবা অনুমোতি চাওয়া কোথাও বলা হয়নি। এটি একটি উদ্দিশ্য প্রণিত বক্তব্য। একজন সাংবাদিকের বেতন নিয়ে প্রশ্ন তুলা একজন ভদ্র বন্ধুর কিংবা সাংবাদিকের লক্ষণ নয়। যা সাংবাদিকতা বিষয়ে বার্তা প্রেরককে পাঠদান জরুরী। তবে প্রতিবেদক যে সব পত্রিকায় কাজ করে তার সকল পত্রিকার নিয়োগ পত্র রয়েছে।


প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি সম্পূর্ন উদ্দিশ প্রনোদিত ও কাল্পনিক। যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে এলাকার স্বার্থে দুর্নীতিবাজ হলুদ সাংবাদিক হিসেবে প্রমাণ করা জরুরী। প্রতিবাদকারী একজন সাংবাদিক বলে দাবী করছেন। কিন্তু তিনি এমন প্রতিবেদন প্রকাশে ব্যার্থ কেন ?


সাংবাদিকতা পেশা যে কেউ আসতে পারে, সংশ্লিষ্ট পত্রিকার নিয়োগ পেতে হবে। উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক কিংবা অন্য পেশায় কাজ করলে সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করা যাবে না প্রতিবেদকে কোথাও লেখা নেই। শুধু মাত্র প্রতিবেদনে তাদের বর্তমান ও অতীত অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তথ্য প্রমাণসহ সংবাদ মাধ্যমে উপস্থাপনের অনুরোধ করা যাচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত