ফাঁসিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

Published: 07 Dec 2016   Wednesday   

লামা উপজেলায় ফাঁসিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, অনিয়ম ও কাজ বাস্তবায়নে ধীরগতির অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক কার্যাদেশ প্রদানের চার মাস পর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে বলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কক্সবাজার জোনের সহকারী প্রকৌশলী আলেক হোসেন জুয়েল জানিয়েছেন । 

 

একাধিক সূত্রে জানা যায়,শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজার জোন ৫৬ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার চুক্তিমূল্যে ফাঁসিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য  গেল আগষ্টে মেসার্স কাজল কনসট্রাকশন নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করে। চার তলা বিশিষ্ট ফাউন্ডেশনের এই একাডেমিক ভবন নির্মাণে প্রদত্ত কার্যাদেশে তিনটি শ্রেণী কক্ষ ও একটি টয়লেট নির্মাণ করা হবে।

 

স্থানীয় শিক্ষা সচেতন জনসাধারণ অভিযোগ করে জানিয়েছেন নির্মাণ কাজের শুরুতে নিম্নমানের ইট, বালি, সিমেন্ট সহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। বেইজ ঢালায়কালে সিডিউল যথাযতভাবে অনুসরণ করা হয়নি। কাজের অগ্রগতি কাগজে কলমে শতকরা ২০ভাগ দেখানো হলেও বাস্তবে অনেক পিছিয়ে। নির্মাণ কাজ চলাকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের অনুপস্থিতির কারণে ভবন নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে সহজ হয়। তবে সহকারী প্রকৌশলী আলেক হোসেন জুয়েল বলেছেন ব্রিকফিল্ডে ইট না পাওয়ায় ইটের মান একটু  খারাপ হচ্ছে।

 

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কক্সবাজার জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী সমীর কুমার রজত দাশ জানান, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ সঠিক নহে। নুর বকস্ সওদাগর নামক একজন ঠিকাদারের পক্ষে কাজটি বাস্তবায়ন করছে। 

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত