কাউখালীতে প্রথম বারের মতো পিঠা উৎসব

Published: 28 Nov 2016   Monday   

কাউখালীতে প্রথম বারের মতো পালন করা হলো নবান্নের পিঠা উৎসব। সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত এ উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌচামং চৌধুরী ।

 

পিঠা উৎসবের আয়োজক ছিল উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত এ উৎসবে এগারোটি স্টল অংশ গ্রহণ করে। এগুলো হলো- উপজেলা প্রশাসন, বেতুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ, কলমপতি ইউনিয়ন পরিষদ, ফটিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদপি, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, কাউখালী কলেজ, মো: আলাউদ্দিন, সূর্যের হাঁসি ক্লিনিক, বিআরডিবি।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া আখতার, উপজেলা পরিষদের দুই ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কমল বরণ সাহা, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাহার মিয়া প্রমূখ।

 

দুপুরে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু শাহেদ চৌধুরী। এসময় বক্তারা বলেন- গ্রাম বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতি পিঠা উৎসব আমাদের মধ্যে নব-প্রেরণার সৃষ্টি করে। অগ্রহায়ণ মাস এলেই বাংলার ঘরে ঘরে আনন্দের বন্যা দেখা দেয়। আজ গ্রাম-বাংলার মাঠে মাঠে পাকা ধান কৃষক সমাজসহ সকলকে জানান দিচ্ছে সোনালী বার্তা। নবান্নের উৎসব আমাদের মধ্যে যে আনন্দের সৃষ্টি করে তা যেন জাগ্রত থাকে যুগ থেকে যুগান্তরে। আজকের এই দিনটি আমাদের কাছে অত্যন্ত স্মরণীয় ও আনন্দঘন মুহূর্ত। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

 

গ্রাম-বাংলার পিঠা বেশি সংখ্যক উপস্থানের জন্য কলমপতি ইউনিয়ন পরিষদকে প্রথম, প্রাথমিক শিক্ষাক অফিসকে দ্বিতীয় ও মো: আলাউদ্দিনকে তৃতীয় স্থান ঘোষানা করেন উদযাপন কমিটি । এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অংগ্রহণকারী সকলের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। স্টল গুলোতে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাগুলো ভোজের আয়োজনও করা হয়েছিল।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত