দরিদ্র নারী ও পুরুষের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের লক্ষে রাঙামাটিতে পরামর্শক সভা অনুষ্ঠিত

Published: 23 Nov 2016   Wednesday   

দরিদ্র নারী ও পুরুষের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের লক্ষে বুধবার রাঙামাটিতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়ন প্রকল্পের দিন ব্যাপী পরামর্শক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 

জেলা ক্রীড়া সংস্থার হল রুমে আয়োজিত আর্ন্তজাজিত উন্নয়ন সংস্থা হেলভেটাজ-এর আর্থিক সহযোগিতায় স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা গ্রীনহীলের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মানজারুল মান্নান। বক্তব্যে দেন হেলভেটাজ-এর আবাসিক পরিচালক কাসপার গ্রোসসেনবাচির, হেলভেটাজ-এর আবাসিক উপ-পরিচালক উম্মে হাবিবা ও গ্রীনহীলের প্রজেক্ট ম্যানেজার লালসোয়ক লিয়ানা পাংখোয়া। অনুষ্ঠানে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়ন প্রকল্পের কি-নোট উপস্থাপণ করেন হেলভেটাজ-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ডা. নূর আকতার নাহার। সভায় প্রকল্পের উপকারভোগী, কৃষক, কৃষি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।


সভায় দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ডা.নীলু কুমার তংচংগ্যা। গ্রীনহীলের উপ-নির্বাহী পরিচালক যতন কুমার দেওয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রমনী কান্তি চাকমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ মানজারুল মান্নান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের মধ্যে বিশাল এলাকা। তাই তিন পার্বত্য জেলাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের যতই উন্নয়ন করা হয়ে থাকে না কেন তার আংশিক উন্নয়ন হবে।


তিনি বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির পরও এ অঞ্চলের সাধারন মানুষকে একটি পক্ষকে চাদা দিতে হচ্ছে। তবে এগুলো ধীরে ধীরে কমে আসবে যখন মানুষ প্রতিবাদ করতে শিখবে, তখন আর তারা চাদাবাজি করতে আর সাহস পাবে না।


তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যেসব উন্নয়ন সংস্থাগুলো এ অঞ্চলে উন্নয়নের জন্য কাজ করছে তাদের মধ্যে কাজের কোন সমন্বয় নেই। অনেক সময় অনেক জায়গায় কাজের ওভারলেপিং করা হচ্ছে। তাই এসব উন্নয়ন সংস্থাদেরকে একত্রে বসে সম্মিলিতভাবে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে।


নগরারনের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পরিবেশ দুষন বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,এ এলাকায় বসবাসরত সবাই এ কাপ্তাই হ্রদের পানি পান ও ব্যবহার করে থাকে। এ জন্য এখানে প্রথমে পয়ঃনিস্কাশন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী।


তিনি আর্ন্তজাজিত উন্নয়ন সংস্থা হেলভেটাজ-কে রাঙামাটি এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফলমূল ও শাকসব্জি যাতে ঠিকমত সংরক্ষন করতে পারে এবং নায্য মূল্য পায় সে জন্য এ এলাকায় একটি হিমাগার স্থাপনের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে।


উল্লেখ্য, হেলভেটাজ-এর আর্থিক সহযোগিতায় ও গ্রীনহীলের উদ্যোগে রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি,মগবান ইউনিয়নে, নানিয়ারচর উপজেলা সদর, সাবেক্ষং, বুড়িঘাট ও ঘিরলাছড়ি ইউনিয়নে এবং বান্দরবান জেলায় বান্দরবান সদর উপজেলায় রাজভিলা,কায়ালং,সোয়ালক,টংগ্যাবতি ইউনিয়নে ও আলীকদম উপজেলার সদর ও চয়িকক্যয়ং ইউনিয়নে তিন বছর মেয়াদে দরিদ্র মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, স্বাক্ষরতা,পয়ঃনিস্কাশন বিষয়ে কাজ করছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত