১৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান বর্জনসহ ধারাবাহিক কর্মসূচির ঘোষনা ইউপিডিএফের

Published: 20 Nov 2016   Sunday   

রোববার ঢাকায় সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

 

সংবাদ সন্মেলনে ইউপিডিএফ নেতা উজ্জ্বল স্মৃতিসহ আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে মৌলিক নাগরিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি হিসেবে কাল ব্যাজ ধারণ, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, প্রতীকী অনশন, অফিস আদালত বর্জন, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান বর্জন ও স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

 

ইউপিডিএফের ঢাকা ইউনিটের সংগঠক মাইকেল চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপিডিএফ নেতা  মাইকেল চাকমা। এসময় উপস্থিত ছিলেন,ইউপিডিএফএর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রিপন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বিপুল চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মন্টি চাকমা।

 

সংবাদ সন্মেলনে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হল অবিলম্বে উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমাসহ আটক ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী-সমর্থক ও নিরপরাধ সাধারণ লোকদের নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে সকল ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ধরপাকড় বন্ধ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ‘১১দফা নির্দেশনা’ প্রত্যাহার,রাঙামাটি এসপি কর্তৃক পেশকৃত কল্পনা অপহরণ তদন্ত রিপোট বাতিল ঘোষণাপূর্বক তদন্ত কার্যক্রম নতুনভাবে শুরু করতে হবে এবং চিহ্নিত অপহরণকারী লেফটেন্যান্ট ফেরদৌসসহ তার দোসরদের গ্রেফতার, গাইবান্দায় সান্তাল জাতিসত্তার ওপর হামলাকারীদের বিচার এবং সান্তালদের জমি ফিরিয়ে দেওয়া, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসিরনগরসহ বিভিন্ন স্থানে হিন্দু বসতিতে অগ্নিসংযোগ-লুটপাট, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুরের হোতাদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রদান এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে।

 

এছাড়া সংবাদ সম্মেলন থেকে  ২৯ নভেম্বর ফিলিস্তিন সংহতি দিবসে আলোচনা, ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে আলোচনা সভা ও র‌্যালি, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুুদ্ধিজীবী দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা এবং ১৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান বর্জন কর্মসূচির ঘোষণা  দেওয়া হয়েছে।

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এতদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয়ভাবে যে দমন-পীড়ন চলছে, যৌক্তিক নিয়মে তা পার্বত্য চট্টগ্রাম গ-ি পেরিয়ে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসিরনগর-হবিগঞ্জের মাধবপুর-মনতলা, সুনামগঞ্জের ছাতক বাজার, মৌলভীবাজারের কমলপুর, রাজশাহীদিনাজপুর গাইবান্ধায় সম্প্রসারিত হয়েছে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত