গাইবান্ধায় আদিবাসী খুন,লুটপাট,অগ্নিকান্ড এবং উচ্ছেদের বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

Published: 11 Nov 2016   Friday   

গাইবান্ধা জেলার বাগদা ফার্ম এলাকায় আদিবাসীদের উপর হামলা, হত্যা, অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকায় সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন করা হয়।

 

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের মূখপাত্র রিপন বানাই-এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও নাগরীক সমাজের উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিরণায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে রাখেন মানবাধিকার নেত্রী সুলতানা কামাল, গবেষক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, পংকজ ভট্টাচার্য, আদিবাসী নেতা সঞ্জীব দ্রং।

 

এছাড়াও বক্তব্যে রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন ও কাজল দেবনাথ প্রমুখ। এসময় দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।


সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়,গেল ৬ ও ৭ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলার সাহেবগঞ্জ ও বাগদাফার্ম এলাকায় পরিকল্পিতভাবে পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনী মিলিতভাবে আদিবাসী ও বাঙালী কৃষকদের উপর আক্রমণ চালায়। পুলিশের উপস্থিতিতে চিনিকল মালিকের সন্ত্রাসীরা আদিবাসীদের বাড়িঘরে আগুণ দেয়। পুলিশের গুলিতে চারজন আদিবাসী সাঁওতাল নিহত হন। তারা হলেন শ্যামল হেম্ব্রম, মঙ্গল মার্ডি, রমেশ টুডু ও একজন আদিবাসী নারী যার নাম এখনো জানা যায়নি। 

 

নেতৃবৃন্দ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সাথে জরিত সকলকে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানিয়ে সংবাদ সন্মেলনে চার দাবী উত্থাপন করা হয়।

 

সেগুলো হল, কমপক্ষে চার জন আদিবাসী হত্যার বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে এর সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে। চিনি কল কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি তদন্তকরে বিচার নিশ্চিত,মানবাধিকার লংঘণের সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো,নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পূর্ণ নিরাপত্তাসহ আবারো তাদের নিজ ভূমিতে বসবাসের নিশ্চয়তা,সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আহতদের চিকিৎসার সার্বিক দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে,সকল মিথ্যা মামলা বাতিল করতে হবে এবংআদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ঘটনার জন্য দায়ী স্থানীয় প্রশাসনকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার নেত্রী সুলতানা কামাল বলেন, সাহেবগঞ্জের এই ঘটনা মানবাধিকারের চরম লংঘন। স্বাধীন বাংলাদেশে এধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দায়িদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য তিনি আহবান জানান। তিনি এই ঘটনাকে গণহত্যার সাথে মিল রয়েছে বলে মনে করেন তাই সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আদিবাসীদের তাদের নিজ জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়ার আহবান জানান।


গবেষক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আদিবাসীদের উপর একের পর এক হত্যা, লুটপাটের ঘটনা ঘটেই চলছে। সম্প্রতি এই ঘটনা বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করে এর বিচার নিশ্চিতকরনের দাবি জানান।


পংকজ ভট্টাচার্য বলেন, যারা হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করে তাদেরকে দ্রুত বিচার আইনে আওতায় বিচার করতে হবে। তিনি অবিযোগ করে আরো বলেন সরকার এদেশ থেকে আদিবাসী শুণ্য করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।


আদিবাসী নেতা সঞ্জীব দ্রং বলেন, সাহেবগঞ্জের ঘটনা মানবাধিকারের চরম লংঘন। বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার।
উল্লেখ্য,  
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত