এফএও`র বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি মাইক রবসনের জুরাছড়িতে প্রকল্প পরিদর্শন

Published: 05 Oct 2016   Wednesday   

বুধবার পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি নিশ্চিত করণ প্রকল্পের পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি মাইক রবসন। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র জুরাছড়ি উপজেলায় মৈদং ইউনিয়নে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে। 

 

মৈদং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বরুন তালুকদাদের বাড়ীর প্রাঙ্গনে আয়োজতি পরিদশর্ন উপলক্ষে প্রকল্পের উপকারভোগী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের  বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এফএও`র বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি মাইক রবসন।

 

ইউপি চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি নিশ্চিত করণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জুলিয়া রে, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, প্রকল্প উপদেষ্টা পপন কুমার চাকমা, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা আশিকা নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমাসহ স্থানীয় হেডম্যান, কার্ব্বারী ও সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।


এর আগে এফএও’র প্রতিনিধি মাইক রবসন, জুলিয়া রে, প্রকল্প উপদেষ্টা পপন কুমার চাকমা, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা আশিকা নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা সুবিধা ভোগীদের বাড়ী পরির্দশন করেন।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফএও প্রতিনিধি মাইক রবস বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিগত ইদুর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য জুমিয়াদের খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করনে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক জুমিয়ারা খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত হয়েছে। সুতরাং প্রকল্পের প্রশিক্ষণ ও উপকরণ যথাযথ কাজে লাগানো সম্ভব হলে খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা সম্ভব।


রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন, বর্তমান সরকার দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বক্ষম হয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা হচ্ছে চাল। এছাড়া পার্বত্য এলাকার পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীদের খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি ইউএনডিপির দাতা সংস্থাগুলো নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।


তিনি আরো বলেন,প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানব সম্পদে রূপান্তর করা হবে। নিজেদের মানব সম্পদে রূপান্তর করা সম্ভব হলে এলাকায় অর্থ নৈতিক ভাবে উন্নয়ন আসবে।


মৈং ইউপি চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা প্রকল্পের দাতা সংস্থা ও বাস্তবায়ন সংস্থাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ির এ ইউনিয়নের বাসবাসরত অধিকাংশ জনগোষ্ঠী জুমিয়া ও হতদরিদ্র। সুতরাং এ প্রকল্প বাস্তবায়ত হলে জুমিয়াদের উপকার বয়ে আনবে।


তিনি দাতা ও বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে সুবিধাভোগী ৫শ পরিবার থেকে ১ হাজার ৫শ পরিবারকে এ প্রকল্পের আওয়াতায় আনার অনুরোধ জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত