দুদক উপ-পরিচালকের মাটিরাঙ্গা হাসপাতাল পরিদর্শন

Published: 26 Sep 2016   Monday   

গেল বার দুদক কর্তৃক “গণশুনানির” পর মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদর হাসপাতালে রোগীদের সেবা প্রাপ্তি, কতটা বেড়েছে তা জানতে সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শন করছেন দুদক রাঙামাটির আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: শফিকুর রহমান ভুঁইয়া।

 

 মাটিরাঙ্গা উপজেলা দুপ্রকের সভাপতি মো: আব্দুর রহিম ও সেক্রেটারী মো: জসিম উদ্দিনকে সাথে নিয়ে সোমবার দুপুরে  তিনি পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতি বই (হাজিরা খাতা) ও হাসপাতালের বিভিন্ন সুবিধাদির বিষয়ে দায়িত্বশীলদের কাছে জানতে চান।

 

এ সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন গাইনী কনসালটেন্ট (জুনিয়র) ডা: কামরুন্নেছা বেগম। তার অনুপস্থিতির পক্ষে কোন রকম সন্তোষজনক কাগজপত্র দেখাতে পারেননি প্রধান অফিস সহকারী ও আরএমও। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে আরএমও সহ অন্যান্যদের সামনেই ডা: কামরুন্নেছা প্রায়ই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন বলে জানান আরেক দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ। 

 

গনশুনানিতে যে সব অভিযোগ করেছিল সাধারণ জনতা তার মধ্যে,সেবার মান নিশ্চিত করণ,ডাক্তারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করণ,হাসপাতালের পরিছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করণ,এক্স-রে সেবা,এমবুল্যান্স সেবা নিশ্চিত করণ,রোগীদের খাবারের মান নিশ্চিত করণসহ বিনামুল্যে ঔষধ বিতরণ উল্লেখযোগ্য।

 

একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি জানান,এই উপজেলায় প্রায় ২ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠির বিপরীতে মাত্র একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সব্যসাচী নাথ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যা এই উপজেলার চিকিৎসা সেবা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।

 

এ ছাড়া সরকারী অর্থায়নে নির্মিত এক্স-রে মেশিনটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যবধি চালু করা সম্ভব হয়নি। চালু না হওযার কারণ হিসেবে বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজকে দায়ি করেছেন আরএমও-সহ অন্যান্যরা। কিন্তু বাজারে অন্যান্য এক্স-রে মেশিন কিভাবে চলছে তার কোন সন্তোষ জনক জবাব দিতে পারেনি হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্তপক্ষ ।

 

স্থানীয় ভোক্তভোগী রোগীর বরাত দিয়ে জানা যায়,উপজেলা সদর হাসটাতালের এমবুল্যান্সটিও দীর্ঘদিন যাবত অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

 

গনশুনানিতে অংশ নিয়ে টিএইচও ডা: মো: খায়রুল আলম জনগনকে আশ্বস্ত করেছিলেন,মাটিরাঙ্গা হাসপাতালের চিকিৎসকদের কর্মস্থলে হাজির থাকার বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। কিন্তু সরেজমিনে তার কোন অগ্রগতি পাওয়া যায়নি।

 

তিনি নিজেও গণ-শুনানির পর কিছুদিন যথাযথভাবে অফিস করলেও বর্তমানে তিনি আগের মতোই মাসের বেশীর ভাগ দিন অনুপস্থিত থাকেন। হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানের প্রধান যদি প্রায়ই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকে তাহলে চিকিৎসা সেবা কতটা নিশ্চিত সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় জনমনে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত