এবারও এইচএসসি পরীক্ষায় রাঙামাটি জেলায় ফলাফল সন্তোষজনক নয়। তবে গত বছরের তুলনায় একধাপ এগিয়েছে। এবারের পাশের হার শতকরা ৪৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৪জন শিক্ষার্থী।
জানা যায়, রাঙামাটির দশ উপজেলার দুটি মাদ্রাসা ও একটি কারিগরী কলেজসহ ১৮টি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছিল ৫ হাজার ৪৩১জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ২ হাজার ৫৬০জন। এবার পাশের হার শতকরা ৪৭দশমিক ১৩ শতাংশ। এসব কলেজ থেকে একমাত্র রাঙামাটি সরকারী কলেজ থেকে বানিজ্য বিভাগ থেকে ৪জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ফলাফললে দেখা গেছে এসব কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বেশীরভাগ ফলাফল খারাপ করেছে। বিশেষ করে উপজেলায় অবস্থিত কলেজগুলোর ফলাফল মোটেই সন্তোষজনক নয়। গত বছর এ জেলায় পাশের হার ছিল ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১১জন শিক্ষার্থী।
কলেজগুলো হল,রাঙামাটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজ,রাঙামাটি পাবলিক কলেজ,কাচালং ডিগ্রী কলেজ,রাবেতা মডেল কলেজ, নানিয়ারচর কলেজ,ঘাগড়া কলেজ,সৃজনী ট্রাষ্ট স্কুল এন্ড কলেজ, কর্ণফুলী কলেজ,কেপিএম স্কুল এন্ড কলেজ,বাঙালহালিয়া কলেজ, রাজস্থলী কলেজ,বরকল রাগীব রাবেয়া কলেজ,কাউখালী কলেজ, শিজক কলেজ, বিএম ইনস্টিটিউট, রাঙামাটি সিনিয়র মাদ্রাসা ও মাইনীমুখ ইসলামিয়া অলিম মাদ্রাসা।
শিক্ষা সচেতন মহলের মতে, সৃজনশীল বিষয়ে জেলার কলেজগুলোর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ না থাকা, প্রত্যান্ত এলাকা থেকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য অধিকাংশ কলেজে হোষ্টেলের ব্যবস্থা না থাকা এবং সর্বোপরি দারিদ্রতাসহ কয়েকটি কারণে শিক্ষার্থীরা ফলাফল খারাপ করছে।
কর্ণফুলী কলেজের অধ্যক্ষ এএইচএম বেলাল চৌধুরী বলেন, এ কলেজের শিক্ষার্থীরা দুর্গম এলাকা থেকে পড়া লেখা করতে আসে। কিন্তু কলেজের কোন আবাসিক ভবন নেই। এছাড়া যে সকল শিক্ষার্থী ভাল কলেজে ভর্তি হতে না পেরে পরে এ কলেজে ভর্তি হওয়ার কারণে ফলাফল ভাল না।
রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জাফর আহম্মদ বলেন,এবার এইচএসসি পরীক্ষায় তার কলেজের ফলাফল গত বছরের তুলনায় কিছুটা ভাল করেছে। তবে গত বছর কলেজটি দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায়, হঠাৎ করে প্রশ্নপত্র সৃজনশীল হওয়ায় এবং শিক্ষার্থীরা গাইড ও প্রাইভেটে বেশী মনযোগির কারনে ফলাফল খারাপ হচ্ছে।
--জিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.