রাঙামাটিতে চার দিন ব্যাপী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নাট্য উৎসব উদ্ধোধন

Published: 03 Mar 2016   Thursday   

বৃহস্পতিবারথেকে চার দিন ব্যাপী রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নাট্য উৎসব শুরু হয়েছে।


রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সহযোগিতায় ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের আয়োজনে জেলার সংস্কৃতি চর্চা, প্রসার, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে নাট্য উৎসবের উদ্ধোধন করেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু। অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, পরিষদের সদস্য সান্তনা চাকমা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের পরিচালক রুনেল চাকমা ও রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল বক্তব্য রাখেন।


চার দিনব্যাপী প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে নাটক মঞ্চস্থ হবে। এর মধ্যে রয়েছে রাঙামাটি জুম ফুল থিয়েটারের পরিবেশনায় ৩ মার্চ চাকমা নাটক “ধনপুদি” ও চাগা থিয়েটার আর্টসের পরিবেশনায় মারমা নাটক “স্বাইতিক স্বাং”, ৪মার্চ খাগড়াছড়ি য়ামুক নাট্যগোষ্টীর পরিবেশনায় ত্রিপুরা নাটক “আপেলা” ও বান্দরবান ম্রো নাট্যদল পরিবেশনায় ম্রো নাটক “আনৈপ্রা”, ৫মার্চ রাঙ্গামাটি ফুরমোন জুম্ম সাংস্কৃতিক নাট্য গোষ্ঠীর পরিবেশনায় চাকমা নাটক মানেই “জিংকানি” ও রাজশাহী মানওয়া নাট্যদলের পরিবেশনায় সাওতাল নাটক “সাঁওতা অৗরি” এবং ৬মার্চ রাঙ্গামাটি ঘাগড়া কালচারাল একাডেমীর পরিবেশনায় চাকমা নাটক “আক্কলর শাস্তি” ও সিলেটের মৌলভিবাজার মণিপুরি থিয়েটারের পরিবেশনায় মণিপুরি নাটক “লেইমা”।


উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফিরোজা বেগম চিনু এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন ভাষাভাষি জনগোষ্ঠীর বসবাস। নাটকের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সকল জাতি গোষ্ঠীর বৈচিত্র, ভাষা ও সংস্কৃতি আমাদের বিশ্বের মাঝে তুলে ধরতে হবে। এর জন্য চাই সকলের আন্তরিক সহযোগিতা।


তিনি আরও বলেন, সংস্কৃতিতে এ জেলার একটি আলাদা শিল্প ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে এটিকে আমাদের মনে সঠিকভাবে লালন করতে হবে। সংস্কৃতির বিকাশে প্রয়োজনে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ে বিশেষ অনুরোধে প্রকল্প বাস্তবায়নে সুপারিশ করা হবে।


তিনি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট এ অঞ্চলের বসবাসরত জনগোষ্ঠীদের সংস্কৃতি চর্চায় নুতন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করারও পরামর্শ দেন।


অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, একটি জাতির পরিচয় তার ভাষা ও সংস্কৃতিতে। কিন্তু চর্চার অভাবে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীরা দিন দিন তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে হারিয়ে ফেলছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে নৃ-গোষ্ঠীদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে।

 

তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে অনেক প্রতিভান শিল্পী রয়েছে সঠিক চর্চা ও সুযোগ পেলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তারা তাদের প্রতিভার মাধ্যমে দেশের সুনাম অর্জন করতে পারবে। 

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত