রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নে সমাজের সর্বস্তরের জনগনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, শিক্ষানুরাগী, প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত এসএমসি কমিটিকে আরো সজাগ হতে হবে। নকল মুক্ত পরিবেশে সব ধরনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে হবে।
রোববার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজনে কর্মশালায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও শিক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অংসুই প্রু চৌধুরী, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদের আহমেদ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলজার আহমদ খান, পরিষদের সদস্যবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, প্রাক্তন শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকবৃন্দগন উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে জেলার শিক্ষার সার্বিক চিত্র ও তথ্য তুলে ধরেন রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনতোষ মল্লিক ও শহীদ আবদুল আলী একাডেমীর প্রধান শিক্ষক কাজী নজরুল ইসলাম। পরে উপস্থিত কর্মকর্তাদের গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে জেলার শিক্ষার উন্নয়নে সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক গুলো তুলে ধরা হয়। এসব প্রস্তাবনা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে।
পরিষদ চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে আরও বলেন, ২০১৪ সালের ২মে পার্বত্য জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রনে হস্তান্তরিত হওয়ায় পার্বত্য অঞ্চলের মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, যুগোপযোগিকরণ, ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম দক্ষ ও গতিশীলকরণ, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধসহ সবার জন্য শিক্ষা অধিকার নিশ্চিতকরণের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সকলের সুচিন্তিত মতামত, পরামর্শ ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ জেলার শিক্ষার মান ও পাশের হার আরো বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি শিক্ষকদের উদ্দ্যেশে বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের অভিভাবকরা অসচেতন তাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নিজেদের সন্তানের মতো ভেবেই শিক্ষাদান করতে হবে। তাদেরকে পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী করাতে হবে। তিনি প্রত্যান্ত অঞ্চলের দূর্গমতার কথা চিন্তা করে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, অভিভাবক ও এসএমসি কমিটিকে সকাল ৯টা থেকে স্কুলে পাঠদান কার্যক্রম চালানোর পরামর্শ দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.