মঙ্গলবার রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তার নিজ কক্ষে আড়াই ঘন্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করেছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক ও কর্মচারীর। এপ্রিল মাসের বেতন না পাওয়ায় বিক্ষুদ্ধ মাধ্যমিক শিক্ষকরা তালা মেরে দিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ রাখেন। অবশ্যই আড়াই ঘন্টা অবরুদ্ধ রাখার পর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হন শিক্ষা কর্মকর্তা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা জানান,বাঘাইছড়ি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ এপ্রিল মাসের উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেদের বেতন বন্ধ রাখার জন্য লিখিতভাবে সোনালী ব্যাংক উপজেলা শাখাকে নিদের্শনদেন। মঙ্গরবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারীরা মাসিক বেতনের টাকা সোনালী ব্যাংক থেকে তুলতে গিয়ে বেতন বন্ধের নির্দেশ জানতে পারেন। পরে উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোন ইতিবািচক সাড়া না পাওয়ায় এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক ও কর্মচারীরা ওই শিক্ষা কর্মকর্তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন সুমিতা চাকমা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে ছুটে যান। পরে তাদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষা কর্মকর্তার জারি করা পূর্বের নির্দেশ প্রত্যাহার করলে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক ও কর্মচারীরা শান্ত হন এবং আড়াই ঘন্টা ধরে শিক্ষা কর্মকর্তা তার কক্ষে অবরুদ্ধ থাকার মুক্ত হন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান সুমিতা চাকমা জানান,বিযয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।পরে অনাকাঙ্কিত ঘটনার খবর পেয়ে দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়ের সাথে আলাপ করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী অবরুদ্ধ করার ব্যাপারে সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে গিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাকে উর্দ্ধতন কর্মকতার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দিই। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমস্যার সমাধান হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.