রাঙামাটিতে বিনামূল্যে আইনী পরামর্শ প্রদানে অ্যালাক কার্যক্রমের উদ্বোধন

Published: 02 May 2015   Saturday   

বিনামূল্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনগত পরামর্শ প্রদানের লক্ষে শনিবার রাঙামাটিতে অ্যাডভোকেসি এন্ড অ্যাডভাইস সেন্টার “অ্যালাক” কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।


রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলানায়তনে অনুষ্ঠিত ট্রান্সফারেন্সি ইনটারন্যাশনাল বাংলাদেশ(টিআইবি) ও সহযোগী সংগঠন সচেতন নাগরিক কমিটির(সনাক) রাঙামাটির উদ্যোগে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। সনাকের রাঙামাটি জেলা সভাপতি চাঁদ রায়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শামসুদ্দিন খালেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নাজমুল হাসান, দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ এরশাদ মিয়া ও টিআইবি’র সিভিক এনগেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক ঊমা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাকের সহ-সভাপতি এ্যাড. সুস্মিতা চাকমা। অনুষ্ঠানে আইনজীবি, সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সনাক, স্বজন, ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্যরা অংশ গ্রহন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সনাক সদস্য ললিত সি. চাকমা। অনুষ্ঠান শেষে রাঙামাটিতে “অ্যালাক” কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সমাজকর্মী হারুনুর রশীদ মাতব্বর, জাহাঙ্গীর আলম মুন্না, বিজয় রতন দে, নিজাম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ


অনুষ্ঠানে বলা হয়, ছয় জন আইনজীবির সমন্বয়ের প্যানেল দ্বারা গঠিত এ অ্যালাক রাঙামাটিতে পর্যাপ্ত স্বাক্ষী এবং প্রমাণ সাপেক্ষে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনগত পরামর্শ প্রদান ও দুর্নীতর শিকার বা দুর্নীতির চাক্ষুস সাক্ষী ব্যক্তির অভিযোগ গ্রহন ও অভিযোগ বিশদভাবে বিশ্লেষন করে প্রতিকারের সম্পর্কে বিনামুল্য সুস্পষ্ট আইনী পরামর্শন প্রদান করবেন। 


অনুষ্ঠানে বক্তারা অ্যালাক-এর কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দুর্নীতির বিরূদ্ধে আইনগত পরামর্শ প্রদানের একটি কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। তবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, নেটওয়ার্ক তৈরী, সুষ্পষ্ট আইনী পরামর্শ প্রদান এবং মানুষকে দুর্নীতির বিরূদ্ধে অভিযোগ করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারলেই অ্যালাক-এর কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের জনগনকে সচেতন করা হলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে আসবে। এ জন্য স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, বুদ্ধিজীবি, উন্নয়ন সংগঠন ও সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে।

 

তিনি আরও বলেন, রাতারাতি টাকা দ্বিগুনের স্বপ্ন দেখিয়ে দেশে ডেসটিনি ও ইউনি পে টু যে প্রতারনা শুরু করেছিল তা জনগন বুঝতে পেরেছিল বলেই তাদের কার্যক্রম সামনের দিকে এগুতে পারেনি। আগামীতে দেশে এ ধরনের প্রতারক ও দুর্নীতিবাজদে বিরুদ্ধে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, পরিষদে দায়িত্ব থাকা কালীন আমার প্রতিষ্ঠানে কারোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্নীতিবাজদের এ প্রতিষ্ঠানে কোন স্থান নেই।

 

তিনি বলেন, অনির্বাচিত জেলা পরিষদ কমিটি হওয়ার ফলে পরিষদ সম্পর্কে জনগনের অনেক ভুল ধারণা রয়েছে আগামীতে তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্য দ্বারা পরিষদ গঠনেরও দাবী জানান। আগামীতে সহনশীল মনোভাব নিয়ে সমাজ তথা দেশকে দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত