পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলকি পরষিদকে অর্কাযকর ও অর্থব রাখা হয়েছে--সন্তু লারমা

Published: 27 May 2024   Monday   

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলকি পরষিদকে অর্কাযকর ও অর্থব রাখা হয়েেছ বলে মন্তব্য করছেনে র্পাবত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলকি পরষিদ চয়োরম্যান জ্যোতরিন্দ্রি বোধপ্রিয়ি লারমা ওরফে সন্তু লারমা। তিনি বলেন, অনেক আশা-আকাংখা নিয়ে ২৬ বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলাম। আজকে এ চুক্তি ২৭ বছরে পর্দাপণ করেছে। কিন্তু সেই চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে। চুক্তিকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য চারিদিকে নানান ষড়যন্ত্র চলছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের ২৫ বছর পুর্তি উপলক্ষে সোমবার রাঙামাটিতে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে ১৯৯৯ সালের ২৭ মে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে।

সন্তু লারমা অভিযোগ করে আরো বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে ত্রিমুখী শাসন চলছে। ১৯০০ সালের শাসনবিধি, সেনা কর্তৃত্ব, পার্বত্য মন্ত্রনালয়, আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের এ ত্রিমুখী শাসন পার্বত্যাঞ্চলের শাসন ব্যবস্থা বিরাজমানের কারণে দমন-নিপীড়নসহ নানান কারণে পাহাড়ী জনগণ হতাশাগ্রস্ত ও বিক্ষুদ্ধ। তারা অধিকার ও মানুষের মতো মর্যাদা নিয়ে বাচঁতে চাই।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাশেদ খান মেনন এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী পুর্নবাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান সুদত্ত বিকাশ চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রæ চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যাশৈহ্লা মারমা,চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়, বোমাং সার্কেল চীফ সাচিং প্রæ চৌধুরী। অন্যন্যর মধ্যে বক্তব্যে দেন জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সদস্য কংজেরী চৌধুরী,পার্বত্য নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, জুমলিয়ান আমলাই, নিরূপা দেওয়ান, শিশির চাকমা। স্বাগত বক্তব্যে দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম কুমার চাকমা। এর আগে অতিথিরা মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের ২৫ বছর পুর্তি উদ্বোধন করেন।

রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সংহতি ঐক্য ছিল তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পার্বত্য চুক্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে উপজাতীয় অধ্যাষিত অঞ্চল হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের এখনো বিধিমালা তৈরী হয়নি। পার্বত্য চুক্তিকে বানচাল করার জন্য যড়যন্ত্র চলছে। ১৯০০ সালে শাসনবিধি বাতিল বা সংশোধন করা হলে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন বাধা গ্রস্ত হবে। ১৯০০ সালে শাসনবিধি এ অঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর বিশেষ অধিকার সংরক্ষনের ব্যাপারে ব্রিট্রিশ আমল থেকে কার্যকর রয়েছে। তাই তাই এটিকে কেউই ইচ্ছে করেও বাতিল বা সংশোধন করতে পারে না। তিনি এ ব্যাপারে সংসদীয় আদিবাসী ককাস কি কি উদ্যোগ নিয়েছিল তা অবগত করার জন্য পার্বত্যবাসীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

প্রধান অতিথি বক্তব্য পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, পাহাড়ে সবস্থান নিশ্চিত করতে হলে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবাযনের বিকল্প নেই। তাই রাগ অভিমান না রেখে উভয় পক্ষকে পার্বত্য চুক্তি পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি এ কথাও বলেন যে, এখন এ বিষয়টি তিনি প্রধানমন্ত্রী নজরে এনেছেন। তিনি আরো বলেন, ১৯০০ সালে শাসনবিধি বাতিল বা সংশোধন বিষয়গুলো আমি ব্যক্তিগতভাবেও করা হলে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন বাধা গ্রস্ত হবে। ১৯০০ সালে বাতিল করবে এ অঞ্চলে মানুষ মানবে না। তাই বাতিল করতে না পারে সোচ্ছার হতে হবে। তিনি সবাই যে যার অবস্থানে থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির জন্য পার্বত্য চুক্তি পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত