আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি অভিযোগ করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২১ বছর পর চুক্তি স্বাক্ষরকারী একটি পক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নেই ও চুক্তিতে আদিবাসী শব্দ লেখা নিয়ে নানান রকম বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে একটি গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন চুক্তি স্বাক্ষরের সময় চুক্তি স্বাক্ষরকারী পক্ষটি তখন দেখে শুনে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন এবং আদিবাসী শব্দটি সেই সময়ে চুক্তিতে লেখেননি কেন?। এখন কেন চুক্তি স্বাক্ষরের দীর্ঘ ২১ বছর পর এসব দাবী উত্থাপিত হচ্ছে। তাই এসব দাবীর পেছনে রয়েছে একটি ষড়যন্ত্র রয়েছে।
রোববার রাঙামাটিতে হিন্দু ধর্ম কল্যান ট্রাস্ট এর মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের জেলা পর্যায়ের কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি আসনের সাংসদ দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি পিটিআই হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস,এম শফি কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হিন্দু ধর্ম কল্যান ট্রাস্ট এর মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচারক রঞ্জিত কুমার দাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ,রাঙামাটি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল উদ্দীন, রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, রাঙামাটি পিটিআইয়ের সুপারেটেন্ট মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন, রাঙামাটি জন্মাষ্টমী উদ্্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশীষ দাশ গুপ্ত প্রমুখ।
পরে রাঙামাটি জেলার মন্দির ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক, অভিভাবক এবং রাঙামাটির সনাতন সম্প্রদায়ের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, অস্ত্রধারীরা সেনা বাহিনী,বিজিবি ও পুলিশের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। কয়েক মাস আগেও রাজস্থলী উপজেলায় অস্ত্রধারীরা গুলিকে করে এক সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে। অস্ত্রধারীরা চাইছে এসব কর্মকান্ড করে এখানে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। যাতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা জগনের উপর চাপিয়ে পড়ে এবং নির্বিচারে গ্রেফতার করে। কিন্তু সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য্য ও সর্তকতার সাথে কাজ করছে যাচ্ছে অবৈধ অস্ত্রধারী ও চাদাঁবাজদের ধরতে। যাতে নিরাপরাধ মানুষ কষ্ট না পায় ও গ্রেফতার না হয়।
তিনি আগামী প্রজন্মকে ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে একটি সুশৃঙ্খল জাতি হিসাবে গড়ে তুলতে হিন্দু ধর্মীয় গণশিক্ষার শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.