দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাসের জন্য হ্রদে সকল প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কাপ্তাই হ্রদের মাছ আহরণ প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণ বিষয়ক এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম শফি কামাল, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মো.জাহাঙ্গীর আলম, রাঙামাটি সদর জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল রফিকুল ইসলাম রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ শাহ আলমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় কাপ্তাই হ্রদে তিন মাছ শিকার বন্ধ থাকাকালীন সময়ে ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে নিয়োজিত রাখা ও জেলার সকল বরফকল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়সহ হ্রদে রুই জাতীয়
সভায় জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ বলেন, সকলের সহযোগিতায় কাপ্তাই হ্রদকে বাঁচাতে হবে। সকলের সহযোগিতায় কাপ্তাই হ্রদকে ঢেলে সাজাতে হবে। হ্রদকে নিয়ে সকলের সহযোগিতায় পরিকল্পনা করে কিভাবে হ্রদটিকে আরো উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারি সেই প্রচেষ্টা করতে হবে। তিনি আরো বলেন,কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং ব্যাপারে মন্ত্রনালয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এটি একটি ব্যয় বহুল ব্যাপার। তাই এটি করতে সরকারের একটু সময় লাগবে। এবার হ্রদে মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে যারা মাছ ধরবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এই দায়িত্ব শুধু মৎস্য কর্পোরেশনের একা নয়। এখানে মৎস্য বিভাগ, সিভিল প্রশাসন,পুলিশ ,আর্মি,বিজিবি ও নৌবাহিনীসহ সবাইকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বি এফ ডি সি) কাপ্তাই হ্রদের মাছের উৎপাদন ও বিপননের কাচ পরিচালনা করে। সংস্থার হিসাব মতে কাপ্তাই হ্রদে ১৯ হাজার জেলে পরিবার মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর মাছ শিকার বন্ধ কালীন ৩ মাস সময়ে প্রতিবছর জেলে পরিবার গুলোকে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়ে থাকে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.