নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেয়ার পথে ৭ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হত্যা ও আহত করা এবং বিলাইছড়িতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যার ঘটনার সাথে জনসংহতি সমিতিকে জড়িত করার অভিযোগে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে উক্ত হামলা ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয় দাবী করে ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের যথাযথ বিচারের দাবিও জানিয়েছে।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো সন্তু লারমা গ্রুপের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার বিভাগের মূখপাত্র বিনয় কুমার ত্রিপুরার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় এই দাবী জানানো হয়েছে।
প্রেস বার্তায় বলা হয়, একটি মহল কর্তৃক জাতীয় দৈনিক ও টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে মনগড়া, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও প্রতিহিংসামূলকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়ার পূর্বেই এই ঘটনায় মনগড়া ও কাল্পনিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে বক্তব্য প্রদান কোনভাবে যুক্তি ও বাস্তবসম্মত হতে পারে না। এ ধরনের বক্তব্য প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে সুষ্ঠু তদন্তকে যেমনি বাধাগ্রস্ত করবে। তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেবে সংগঠনটি মনে করে।
প্রেস বার্তায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি কোনভাবে উক্ত হামলা ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয় দাবী করে উক্ত সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রকৃত অপরাধীদের যথাযথ বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ, আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের করা হয়েছে।
প্রেস বার্তায় এধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য পার্বত্য সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানানো হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.