খাগড়াছড়ির গুইমারা ও হাফছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত মংসাজাই চৌধুরী স্মৃতি অনুর্ধ্ব-১৮ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে।
গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন প্রয়াতের পুত্র খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী । এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নূরুজ্জামান, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া,গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১ নং গুইমার সদর ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা।
নক আউট পদ্ধতির এ টুর্নামেন্টে গুইমারা উপজেলার মোট ১৬ টি দল অংশগ্রহণ করছে। উদ্ধোধনী খেলায় অংশ নেয় গুইমারা কলেজ একাদশ এবং গুইমারা বাজার একাদশ। প্রতিদন্দ্বিতাপুর্ণ এই খেলায় গুইমারা বাজার একাদশ ১-০ গোলে জয় লাভ করেন। খেলা চলবে আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত। খেলায় বিজয়ী দলকে ৫০ হাজার টাকার এবং রানার্স আপ দলকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে কংজরী চৌধুরী বলেন, বর্তমানে যুব সমাজের যে নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে তা থেকে উত্তরণের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নাই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিক্ষার পাশাপাশি দেশ ব্যাপী খেলাধুলা প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছেন। ক্রীড়ার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে সমাজে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য দুর করতে হবে। তিনি আরো বলেন যুব সমাজকে এগিয়ে নৌয়ার জন্য ব্যাটমিটন ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করবেন এবং মেয়েদের জন্য খেলার আয়োজন করবেন বলে জানান।
এছাড়া বক্তারা আরো বলেন মংসাজাই চৌধুরী ছিলেন একজন মহান ব্যাক্তি শান্তি অগ্রদুত। দুস্কৃতিকারীরা তাকে অপহরন করে হত্যা করলে ও তার আর্দশকে হত্যা করতে পারেনি। তাই তার নামে একটি সড়ক নাম করন করার দাবী জানান।
এর আগে গুইমারা উপজেলার ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ১০টি সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে ক্রীড়া সামগ্রী ও সংগীত সামগ্রী বিতরন করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।
উল্লেখ্য,তৎকালীন কালীন সময়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে গিয়ে ১৯৮৯ সালে ১৩ জানুয়ারী রাত ১ টার দিকে গুইমারা নিজ বাড়ী থেকে মংসাজাই চৌধুরীকে অপহরন করে নিয়ে যায় দুস্কৃতকারীরা। এরপর থেকে তিনি আর ফিরে আসেনি। মংসাজাই চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন ৭ নং গুইমারা ইউপি চেয়ারম্যান(বর্তমানে ১নং গুইমারা ইউপি)। হাফছড়ি ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ মারমা উন্নয়ন সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি ছিলেন শান্তি পক্ষে এবং পাহাড়ী বাঙ্গালীর প্রিয় ব্যাক্তি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.