অবিলম্বে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান,পার্বত্য চুক্তির পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন ও নিরাপদ পাহাড়ের দাবী জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে বর্নাঢ্য র্যালী ও আলোচনার মধ্য দিয়ে আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপিত হয়েছে।
আদিবাসী জাতিসমুহের দেশান্তর, প্রতিরোধের সংগ্রাম শ্লোগানকে সামনে রেখে আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চল শাখার উদ্যোগে ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সনাকের সহযোগিতায় রাঙামাটি পৌর সভা কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে উদ্বোধন ও প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি আসনের সাংসদ উষাতন তালুকদার।
আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চল শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, রাঙামাটির সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রীতা চাকমা, বালুখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমা, সনাক রাঙামাটির সাবেক সদস্য চাদ রায়,সংস্কৃতি কর্মী শিশির চাকমা,সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারন সম্পাদক সভাপতি থোয়াই অং মারমা। স্বাগত বক্তব্য দেন আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চল শাখার সাধারন সম্পাদক ইন্টু মনি তালুকদার।
এর আগে ফেস্টুন উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন উষাতন তালুকদার এমপি। পরে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে পরিবেশন করেন আদিবাসী শিল্পীরা। সমাবেশ শেষে রাঙামাটি পোৗর কার্যালয় চত্বর থেকে আদিবাসী নারী-পুরুষরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে একটি বর্নাঢ্য র্যালী বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য উষাতন তালুকদার এমপি আদিবাসীরা নীরবে নিভৃতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে দাবী করে বলেন, পাহাড় ও সমতলে বসবাসরত আদিবাসী মানুষ আজ সুখে নেই,তারা উদ্বিগ্ন,উৎকণ্ঠিত, আসলে এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে তারা ঠিকে থাকতে পারবে কিনা, তারা নিজেদের জাতিসত্বার পরিচয় ও মানবধিকারের নাগরিক হিসেবে বেচে থাকতে পারবে কি পারবে কিনা।
তিনি উদাহরণ দিয়ে আরো বলেন, যাদের অর্থ বিত্তশালী প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করে অর্থ ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে জায়গা-জমির দলিলপত্র করিয়েছে, যার কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যছড়ি ৫শ পরিবার মায়ানমারে চলে গেছে।
তিনি পাহাড়ে যারা আতœসংঘাতী সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, পাহাড়ের আদিবাসী মানুষ আজ বিলুপ্তির পথে। যারা পাহাড়ে জঙ্গলে হানাহানি করে আতœঘাতী সংঘাতে রয়েছে তাদের এ ধরনের সংঘাত সাজে না। তাই মারামারি ও হানাহানি না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই সংগ্রামে এগিয়ে যেতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.