• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
পার্বত্যাঞ্চল থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ১২জন ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা                    ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে বিজু,সাংগ্রাই, বৈসুক উৎসব শুরু                    বিজু-সাংগ্রাই-বৈসু উপলক্ষে রাঙামাটিতে বর্নাঢ্য র‌্যালী                    বান্দরবানে ধরপাকড়,হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ ও আটকদের মুক্তির দাবি তিন সংগঠনের                    বিজু উৎসব উপলক্ষে রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর আর্থিক সহায়তা                    রাঙামাটিতে জুম উৎসবের আয়োজন                    বন বিভাগের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সন্মেলন                    বিলাইছড়িতে আগুনে ৬টি বসতঘর পুড়েছে, আহত ১                    পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস কর্মসূচি পালন                    রাবিপ্রবি’তে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত                    বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধীতে বিজিবির মহাপরিচালকের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন                    রাঙামাটিতে নতুন সিভিল সার্জন ডাঃ নূয়েন খীসা                    রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের দরপত্র প্রকাশ নিয়ে গোপণীয়তার অভিযোগ                    কাপ্তাইয়ে গাছ কাটার অনুমতি না থাকায় ব্রীজ নির্মাণে অশ্চিয়তা                    সুখ-শান্তি কামনায় বালুখালীবাসীর মহাসংঘদান                    বরকলে অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু, ১৪ জন অসুস্থ, এলাকায় আতংক                    রাঙামাটিতে জেনারেল হাসপাতালের সাথে সনাকের অ্যাডভোকেসি সভা                    গ্রামবাসীদের উচ্ছেদ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি                    স্বপ্ন প্রতিবন্ধীর সভাপতি ত্রিনা চাকমা ও সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী                    ঘাতক ট্রাক প্রাণ কেড়ে নিল রাঙামাটি সরকারি কলেজের মেধাবী শিক্ষাথী সালেহিনের                    চ্যাম্পিয়ন লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ                    
 
ads

পাহাড় ধস ট্র্যাজেডীর এক বছর
স্থায়ী ব্যবস্থা না হওয়ায় ক্ষিতিগ্রস্তরা ফের হাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে

স্টাফ রিপোটার : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 12 Jun 2018   Tuesday

বুধবার কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধস ট্র্যাজেডীর এক বছর। গেল বছর ১৩ জুন ভয়াবহ পাহাড় ধসে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ স্থানে শিশুসহ ১৮ জনের মুত্যু হয়।

 

পাহাড় ধসে চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের মিতিঙ্গাছড়িতে মোঃ সবুজ তার পিতা নুরনবী, স্ত্রী রুপসী ও ৫ বছরের শিশু রোহানকে হারিয়েছে। এরপর সরকারি ভাবে কিছু নগদ অর্থ ও টিন সহায়তা পেয়ে ধসেপড়া স্থানেই আবারও বসতঘর নির্মান করেছে। তার মতো ক্ষতিগ্রস্থ অনান্য পরিবারগুলোও পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানেই বসবাস করছে। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলকায় বসবাসকারী ৪০ পরিবারকে তখন স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাসের বন্দেবস্ত করার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সুপারিশ করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি । ফলে পরিবার গুলোকে ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের ঢালে বসবাস করতে হচ্ছে। 

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৩ জুন ২০১৭ তারিখে ১৮ জনের মুত্যুর পর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী কয়েক’শ পরিবারকে উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অধিকাংশ পরিবারই নিজ নিজ বাসস্থানে ফিরে যায়। কিন্তু মারতœক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ৪০টি পরিবারকে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে দেওয়া হয়। ২ জুলাই ২০১৭ তারিখ এসব পরিবারকে স্থায়ীভাবে পূর্নবাসরে জন্য উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সরকারী দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু দূর্যোগ শেষ হওয়ার প্রায় ৩ মাস পরও ওই ৪০ পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করলেও তাদেরকে স্থায়ীভাবে বসবাসের কোন ব্যবস্থা করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। নিরুপায় হয়ে নিম্ন আয়ের এসব মানুষ বাধ্য হয়ে পুনারয় ঝুঁকিপুর্ণ এলকায় বসবাস করতে থাকে।


চিৎমরম মুসলিম পাড়ায় বসবাসকারী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, প্রতিবছর দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া এলেই ঝুঁকির্পূণ এলকায় বসবাসকারী পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করা হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই পরিবারগুলো আবারো ঝুঁকিপূর্ণ এলকায় বসবাস শুরু করবে। এভাবে কতদিন চলবে? এসব পরিবারকে স্থায়ীভাবে পুর্নবাসন করা না হলে বছরের পর বছর চলতে থাকবে এ পরিস্থিতি। এটা অমানবিক বলে তিনি মন্তব্য করেন। বৃদ্ধা মঞ্জু বেগম (৫০), মোঃ নাছির (৫০), সুমি বেগম (২২) জানান, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের মাথা গোঁজার কোন ঠাই নেই। দীর্ঘ ৩/৪ মাস আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার পরও আমাদের থাকার কোন স্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়নি। আমরা কোথায় যাব? তাই ঝুঁকি সত্বেও আমরা নিরুপায় হয়ে পাাহড়ের ঢালে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছি।


কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিলদার হোসেন বলেন, আমরা জেলা পর্যায়ে লেখালেখি করেছি, এসব পরিবারকে স্থায়ীভাবে পূর্ণবাসনের জন্য। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় জেলা প্রশাসন থেকে আশানুরুপ কোন সাড়া পাইনি।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, স্থায়ী জায়গা না পওয়ায় এসব পরিবারকে পুর্নবাসন করা সম্ভব হচ্ছে না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ