ছাগল পালন ঋন প্রকল্পের আওতায় জুরাছড়ি উপজেলার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দু’জন মৃত ব্যক্তি ও ১৮জনের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ঋন উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে মৈদং ইউনিয়নের তিনটিলা পুরুষ দলের ১৩ জনের স্বাক্ষরিত আবেদন স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে অফিসে জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো ঃ তোফাজ্জল হোসেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, জুরাছড়ি ইউ সি সি এ লিঃ হতে মৈদং ইউনিয়নের তিনটিলা পুরুষ দলকে প্রতি জনকে তিন হাজার টাকা হারে ২০ জনকে ঋন দেওয়া হয়। এ ঋনের বর্তমানে সুদাসলে সাত হাজার পাঁচশত টাকা অথাৎ বিশ জনের এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দাড়ালে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড পনের দিন সময় বেধে দিয়ে ঋন পরিশোধের নোটিশ জারি করে। এ সব নোটিশ হাতে পেলে তাৎক্ষনিক ভাবে পল্লী উন্নয়ন বিভাগে আবেদন করেন।
সতিশ চন্দ্র চাকমার বড় ছেলে শরৎ কুমার চাকমা জানান, তার বাবা ১৯৯৮ সালে মার্চে মারা জান। অথচ বাবার নামে ১৯৯৯ সালে ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড থেকে ঋন নেওয়ার হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নামে কিভাবে ঋন দেওয়া হলো তার বিচার দাবী করেন।
একই এলাকার কামিনী কুমার চাকমার ছেলে লক্ষী কুমার চাকমা জানান, তাদের বাবাও ১৯৯৮ সালে জুন মাসে মারা যায়। একই বিচার চেয়েছেন তিনি। তার দাবী তৎ সময় তার বাবা বয়স ছিল ৮০ বছর। যা বাড়ী মধ্যে ঘুরা ফেরার সীমাবদ্ধ ছিল।
এদিকে জ্ঞান লাল চাকমা, শান্তি কুমার চাকমা, পূর্ণ জয় চাকমা, নন্দ কুমার চাকমা জানান আমাদের স্বাক্ষর জ্ঞান রয়েছে। অথচ সঠিক ভাবে যাছাই না করে টিপসইয়ের মাধ্যমে আমাদের নামীয় ঋন নেওয়া হলো-অথচ আমরা কিছুই জানিনা। পরবর্তিতে ঋন পরিশোধের জন্য পল্লী উন্নয়ন বিভাগ আমাদের নোটিশ দিচ্ছে।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো ঃ তোফাজ্জল হোসেন মুঠো ফোনে জানান, আবেদনটি আরো আগে করা উচিৎ ছিল। তার পরেও আমরা গুরুত্ব সহকারে আবেদনটি মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করব।
মৈদং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা জানান, সাধারণ খেকে খাওয়া সহজ-সরল মানুষের নাম ভাঙ্গিয়ে ঋন নেওয়া খুবই দুঃখ জনক। এই ঘটনার সাথে কেবা কারা জড়িত ছিল তাদের বিরূদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.