পাহাড় ধসের ক্ষতি ও দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতিমূলক হিসেবে রাঙামাটিতে চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসে নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শনিবার এসব চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে জনচেতনামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে জেলা প্রশাসন।
সকালের দিকে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে রাঙামাটি শহরের পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত ঝুকিপূর্ণ শিমুলতলী, রুপনগরসহ বিভিন্ন স্থানে বসবাস করার নিষেধজ্ঞা বিষয়ক সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন। এসময় জেলা প্রশানের কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসের নিষেধজ্ঞা জারি ও সচেতনামূলক বিষয়ক সাইনবোর্ড স্থাপন শেষে জেলা প্রশাসক ঝুকিপূর্ন স্থানে বসবাসরত জনসাধারনের সাথে নিষেধজ্ঞা জারি ও জনচেতনামূলক বিষয়ে আলোকপাত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় পাঁচ সেনা সদস্যসহ ১২০জনের প্রাণহানী ঘটে এবং কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, রাঙামাটিতে বর্ষার আগেই সম্ভাব্য পাহাড় ধস ও দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সামনে বর্ষার আগেই গত মৌসুমে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, রাস্তা-ঘাট, সেতু মেরামত ও পুন:নির্মাণ সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে ভূমি ধসের প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সম্ভাব্য কারণগুলো চিহ্নিত করে পাহাড়কে সুরক্ষার নিশ্চিত করা, পাহাড়ের পাদদেশের বসতি সরানো, কারিগরি বিষয়গুলো বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.