রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ১নং সাবেক্ষং ইউনিয়নের বেতছড়ির হেডম্যান পাড়া এলাকায় বুধবার প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কর্মী নিহত হয়েছেন। তার নাম সুনীল তংচংগ্যা(৪০) ওরফে জনি । এ ঘটনায় ইউপিডিএফ এমএন লারমা গ্রুপের পার্বত্য জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
জানা যায়,গতকাল বুধবার দুপরের দিকে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ১নং সাবেক্ষং ইউনিয়নের বেতছড়ির রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের দুইশ গজ দুরতে অবস্থিত হেডম্যান পাড়ার একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন ইউপিডিএফ কর্মী সুনীল তংচংগ্যা(৪০) ওরফে জনি। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজনদের দেখতে পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় অস্ত্রধারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। ঘটনাস্থলে সুনীল তংচংগ্যা(৪০) ওরফে জনির মৃত্যু হয়। নানিয়ারচর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তার বুকে ও দু পায়ে তিনটি গুলি লাগে। নিহতের বাড়ী জেলার রাজস্থলী উপজেলায়।
ইউপিডিএফের জেলা সমন্বয়ক শান্তি দেব চাকমা এ ঘটনার জন্য এমএন লারমা গ্রুপের পার্বত্য জনসংহতি সমিতি দায়ী করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের গ্রেফতার ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে এমএন লারমা গ্রুপের পার্বত্য জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার বিভাগের সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরার সাথে যোগাযোগ করা তিনি ঘটনার অস্বীকার করে জানান, ইউপিডিএফের আভ্যন্তরীন কোন্দলে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে এ ঘটার জন্য তার সংগঠনকে দায়ী করা হচ্ছে যা মিথ্যা।
নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান, প্রতিপক্ষে গুলিতে সুনীল তংচংগ্যা(৪০) ওরফে জনি নামে ইউপিডিএফের এক কলেক্টর নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.