ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ রাসেল(১৭) হত্যাকান্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
শহরের কদমতলী এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আমিন হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা নুরন্নবী চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা, কল্যান মিত্র বড়–য়া, মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মংক্যাচিং চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টেকো চাকমা, রাসেলের বাবা নুর হোসেন ও মা মাজেদা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাসেল হত্যাকান্ডের ৫দিন অতিবাহিত হলেও এখন মামলার প্রধান আসামী পৌর মেয়র রকিফকুল আলম, ছোট ভাই দিদারুল আলমদের গ্রেফতার করা হয়নি। উল্টো প্রকাশ্যে প্রশাসনের সহযোগীতায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। গত পৌর নির্র্বাচনের পর থেকে দলের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম, তার ছোট ভাই রফিকুল আলম ও দিদারুল আলমের অনুসারীদের হামলায় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলা, নির্যাতন করা হয় বলে জানানো হয়।
এদিকে রাসেলের পরিবার থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে ২০১৭ সালের ২নভেম্বর রাসেল হত্যার আগে মেয়র রফিকুল আলমের অনুসারীরা বাসায় ভাংচুর হামলা ও রাসেলের মা’কে কুপিয়ে আহত করে। এই ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলার ৫জন আসামী রাসেল হত্যার ঘটনায় জড়িত বলেও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় রাসেলের বাবা মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কান্না জড়িত কন্ঠে তার ছেলের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন।
উল্লেখ্য, গেল ২৪ মার্চ জেলা শহরের মিলনপুর ব্রীজ এলাকায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ রাসেল শেখ(১৭)কে ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়ার পথে মারা যায়। এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়রের নামসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি হত্যা দায়ের করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.