শুক্রবার জুরাছড়িতে বিদ্যুৎ বিহীন পরিবারের মধ্যে সোলার সরবরাহ ও পাড়া কেন্দ্র গুলোতে জাতীয় পতাকা বিতরণ করা হয়েছে। বনযোগীছড়া ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন (টিআর) কর্মসূচীর আওয়াতায় এসব বিতরণ করা হয়।
বনযোগীছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জোন অধিনায়ক লেঃকর্ণেল কে এম ওবায়দুল হক। বনযোগীছড়া চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় হেডম্যান করুনা ময় চাকমা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা। ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য লক্ষী মুনি চাকমার ধারা সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড সদস্য চিচি মুনি চাকমা, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ননাবী চাকমা প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইডিএফের উপজেলা প্রতিনিধিসহ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোন অধিনায়ক কে এম ওবায়দুল হক বলেন, পার্বত্য এলাকায় সাধারণ জনগণ মাথার ঘাম পায়ে পেলে উপার্জিত অর্থ থেকে সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হবে খুবই দুঃখ জনক। আর সেই টাকায় সন্ত্রাসীরা অস্ত্র সংগ্রহ করে এলাকায় ত্রাস স্মৃতি করে চলেছে। সুতরাং আইন শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি সমষ্টিগত ভাবে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে হবে।
জোন অধিনায়ক আরো বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতি অনুসারে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে বিভিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিহীন এলাকা গুলোতে হতদরিদ্রদের বিনা মূল্যে সোলার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারী ভাবে বিনা মূল্যে পাওয়া এসব সোলার থেকে সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হবে কিনা উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.