জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্ম দিন ও জাতীয় শিশু দিবসকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিন ব্যাপী রাঙামাটিতে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে চিত্রাংকন ও সংগীত প্রতিযোগিতার উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মো: মুছা মাতব্বর। বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা রাঙামাটি জেলার সভাপতি মনসুর আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক হাজী এ কে এম মকছুদ আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল মাওলা, যুবলীগের নেতা ঝিনুক ত্রিপুরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহ এমরান রোকন।
চিত্রাংকন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় দুইশতাধিক ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহন করেছে। জেলা পর্যায় থেকে কৃতিত্ব অর্জনকারী প্রতিযোগীরা জাতীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধু পদক জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শহরের কলেজ গেইট থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্য্য পর্যন্ত আনন্দ র্যালী, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজিত হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আজকের এই নতুন প্রজন্মের শিশুদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে জাতির পিতার আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। স্বাধীনতা ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। কারণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মই আগামীদিনের কান্ডারী। নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে পারলে এদেশের ইতিহাস তারা জানতে পারবে।
বক্তারা আরো বলেন, শিশুদের ঘরে বসিয়ে রাখলে চলবেনা। শিক্ষা, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তাদের অংশগ্রহন করিয়ে তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করার সুযোগ সৃস্টি করে দিতে হবে। ভবিষ্যতে এরাই আমাদের দেশের নেতা হবে এবং রাষ্ট পরিচালনা করবে। এতে করে বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.