শীতের হিমশীতল হাওয়া,মৃদু মন্দ বাতাস বইছে প্রকৃতিতে। দেশের বিভিন্ন জেলা হতে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে ঝড়ো হয়েছে যন্ত্রশিল্পীরা।
গেল ১ জানুয়ারী থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে জাতীয় যন্ত্র সংগীত উৎসব। বৃহস্পতিবার উৎসবের শেষ দিনে বিভিন্ন জেলার পরিবেশনায় ছাড়াও ছিলো রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমির অনবদ্য সমবেত যন্ত্র সংগীত পরিবেশনা। বাংলাদেশ বেতার রাঙামাটি কেন্দ্রের ক্ল্যাসিক্যাল তবলা বাদক সংগীত পরিচালক ঝুলন দত্তের পরিচালনায় রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমির যন্ত্রশিল্পীরা কখনোও শিঙাতে পাহাড়ী সুর, হেংগ্রং এ মন মাতানো আলাপ, ধোধোকে বিভিন্ন তাল,পাহাড়ী বাঁশিতে চাকমা, তংচংগ্যা এবং ত্রিপুরা গান আবার কখনোও তবলার লহড়া ও বাংলা ঢোলের বোল, তেহাই এ প্রায় ২৫ মিনিট মুগ্ধ করে রেখেছে উপস্হিত দর্শক স্রোতাদের।
বিশেষ করে শিল্পকলা একাডেমি রাঙামাটি কর্তৃক সম্মাননা পাওয়া কাউখালি উপজেলার ঘাগড়ার বাঁশী বাদক ধারশ মনি চাকমা, রাঙ্গাপানির প্রবীন শিঙা বাদক জয়শান্তি চাকমা, বিলাইছড়ি উপজেলার ধোধক বাদক শশীরন চাকমা, ঘাগড়ার হেংগ্রং বাদক শান্তিময় চাকমা, চম্পকনগরের দীপায়ন চাকমার চাকমা ঢোল তাদের নিজস্হ জাতি গোষ্ঠীর যন্ত্র জাতীয় ভাবে উপস্হাপন করে প্রশংসিত হন। এছাড়া রাংগামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমির তবলা প্রশিক্ষক সুবল বিশ্বাস, কাপ্তাই শিল্পকলা একাডেমির তবলা বাদক অর্ণব মল্লিকের তবলা যুগল বন্দি এবং বিশিষ্ট ঢোল বাদক শিবু দাশের বাংলা ঢোল পরিবেশনা দর্শকরা উপভোগ করে করতালিতে।
সমগ্র পরিবেশনায় কির্বোড এ সহযোগীতা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীত প্রশিক্ষক মিলন ধর। উৎসবে উপস্হিত দেশবরেন্য বংশীবাদক গাজী আব্দুল হাকিম, তবলা বাদক দেবব্রত চৌধুরী ও মিলন ভট্রাচার্য্য রাংগামাটি জেলা যন্ত্রশিল্পীদের পরিবেশনায় ভুয়সী প্রশংসা করেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার অনুসিনথিয়া চাকমার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের এই দল জাতীয় যন্ত্র সংগীত উৎসবে অংশ নেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.