রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় বৃহস্পতিবার পাচ ইউপি সদস্যসহ ২০ জনকে অপহরণ ঘটনার গুজব উঠেছে। তবে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ অপহরণের ঘটনাটি শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।
একাধিক সূত্র মতে, ইউনাইটেড পিপলস ডেমেক্রেটিক ফ্রণ্ট(ইউপিডিএফ) এর পক্ষ থেকে মিটিং এর জন্য গতকাল নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট,ঘিলাছড়ি ইউনিয়নসহ চারটি ইউনিয়ন থেকে পাচ ইউপি সদস্যসহ ২০জনকে ডাকে। তাদেরকে বুড়িঘাট ইউনিয়নের ভাঙ্গামুড়া এলাকার অদুরে দুর্গম স্থানে মিটিং এর জন্য নিয়ে যাওয়ায় হয়। তবে যে স্থানে মিটিং এর জন্য ডাকা হয় সেখানকার এলাকাটি মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে ছিল। যে কারণে মিটিং শেষে তাদের স্ব স্ব বাড়ীতে ফেরত আসার কথা থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্ষন্ত (রাত ৮টা পর্ষন্ত) তারা স্ব স্ব বাড়ীতে ফিরেছেন কিনা তার খবর নিশ্চিত করেত পারেনি সূত্রটি।
বৃহস্পতিবার সারাদিন এ মর্মে গুজব উঠে ছিল যে ইউপিডিএফের ২০ থেকে ৩০ জনের একদল সশস্ত্র সদস্য পাচ ইউপি সদস্যসহ ২০জনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। তাদেরকে ইঞ্জিন বোটযোগে প্রথমে ভাঙ্গামুড়া এলাকা হয়ে পরে ত্রিপুরা ছড়া এলাকায় দুর্গম স্থানে নিয়ে যায়। এর পর তারা আর ফিরে আসেননি। এর মধ্যে ১২ জনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন, সাবেক্ষং ইউনিয়নের রতন দিব চাকমা, রিপেন চাকমা, পরানধন চাকমা, শিশির ময় চাকমা, রুমী চাকমা, চম্পা চাকমা, রত্মা চাকমা, এবং নানিয়ারচর ইউনিয়নের প্রিয়লাল চাকমা, পূর্ণ কুমার চাকমা, বাবুল বিকাশ চাকমা, রিটন চাকমা, নানিয়াচরের সাবেক মেম্বার সেন্টু চাকমা। বাকীদের নাম পাওয়া যায়নি।
নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান, অপহরণের ঘটনা তারা শুনেছেন। তবে লোকজন নানিয়ারচর উপজেলার বাসিন্দা হলেও ঘটনাটি ঘটেছে নানিয়ারচরের বাইরে।
পুলিশ সুপার সাঈদ মোঃ তারিকুল হাসান বলেন, ওই এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে ২০ থেকে ২২ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার খবর শুনতে পাচ্ছি। বিস্তারিত এখনও জানা যাচ্ছে না। খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.