রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ এনে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট উপ-কমিটির ১৮ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার দুপুরে শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে মাধ্যমে এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন গঠিত ক্রিকেট উপকমিটির আহবায়ক আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম।
এসময় উপকমিটির সদস্য সচিব জয়জিৎ খীসা, সদস্য শফিউল আযম,দেবেশ চাকমা,কনৌজ চাকমা,এসএম ফরিদ উদ্দীন,নাসের খান,মোঃ হান্নান, বেনু দত্ত ও দীপংকর খীসা পিংকু উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বরুন বিকাশ দেওয়ান ও সহ-সভাপতি সুনীল কান্তি দে’র অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে ক্রিকেট উপ-পরিষদের সদস্যরা ঘনতানিত্রকভাবে কাজ করতে পারছেন না। এ দুজনের কাছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা জিম্মি। এতে জেলার ক্রিকেট ক্লাব, খেলোয়াড়, সমর্থক, সচেতন মহল ভীষনভাবে ক্ষুদ্ধ ও মর্মাহত।
সংবাদ সন্মেলনে আরো বলা হয়, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানকে ভুল বুঝিয়ে এবং ক্রিকেট উপ-কমিটিকে পাশ কাটিয়ে সাধারন সম্পাদক ও সহ-সভাপতি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধির নাম পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিবি) কাছে। অথচ তারা দুজনেই ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত নন। যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও নিয়মবর্হিভূত। কারণ ইতিপূর্বে ক্রিকেট উপ-পরিষদের মিটিং ও কার্য নির্বাহী কাউন্সিলের জরুরী সভা অহ্বান ও সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রতিনিধি বা কাউন্সিলর নির্বাচিত হতো।
সংবাদ সন্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, বরুন বিকাশ দেওয়ান একজন জাতীয় ফুটবলার কিন্তু কোন ক্রিকেটার নয়। তিনি বাফুফের সদস্য পদ নিজে গ্রহন না করে ফুটবলের সাথে সম্পৃক্ততা নেই তাকে বাফুফের সদস্য পদ তিনবার নিজস্ব ব্যক্তি স্বার্থে বিক্রি করে দেন। আর তিনি ক্রিকেট সম্পর্কে অজ্ঞ থেকেও রাতের অন্ধকারে গোপন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিসিবি’র কাউন্সিলর পদটি তিনি গ্রহন করে নেন।
সংবাদ সন্মেলনে আরো বলা হয়, বিসিবিতে রাঙামাটি থেকে একজন যোগ্যতম প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত রাঙামাটির ক্রিকেটের উন্নয়ন, ভবিষ্যৎ ও ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্ব বহন করে থাকে। কিন্তু জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ও সহ-সভাপতির এহেন অনৈতিক আচরণে ক্রিকেট উপ-পরিষদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক ও বিব্রতকর। তাই ক্রিকেটের স্বার্থে এ পদত্যাগ করা যৌক্তিক সমাধান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.