প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে রাঙামাটি পর্যটনের আকর্ষনীয় ঝুলন্ত সেতু। পানিতে ডুবে থাকা সেতুর উপর থেকে পানি নেমে যাওয়ায় পর্যটন কর্তৃপক্ষ ঝুলন্ত সেতু পুণরায় খুলে দেয়। ফলে প্রাণ ফিরে পেতে শুরু করেছে রাঙামাটির সরকারী পর্যটন স্পট এলাকা।
রাঙামাটি সরকারী পর্যটন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বর্ষা মৌসুমে টানা বর্ষনে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে গেল ১৮ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির সিম্বল পর্যটন ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে পর্যটন কর্তৃপক্ষ ঝুলন্ত সেতুর উপর দিয়ে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থকে বিবেচনা করে পারাপারের জন্য বন্ধ করে দেয়। ফলে রাঙামাটিতে বেড়াতে পর্যটকরা এ ঝুলন্ত সেতুটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেননি।
তবে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় পর্যটন ঝুলন্ত সেতুটি প্রায় দুই মাস পানিতে ডুবে থাকার পর গেল রোববার থেকে সেতুর উপর দিয়ে পর্যটকদের পাারাপারের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে ডুবে থাকায় সেতুর অনেক পাটাতন নষ্ট হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে সেতুর ক্ষতিগ্রস্থ পাটাতনগুলোর সংস্কারের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আসন্ন পর্যটন মৌসুমে রাঙামাটিতে পর্যটকরা নিবিঘ্নে ঝুলন্ত সেতুর উপর দাড়িঁয়ে সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন এবং পর্যটনের আয়ের মুখ দেখবে বলে আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় দুই মাস সেতুর উপর দিয়ে পারাপার বন্ধ থাকার পর উন্মুক্ত করে দেওয়ায় দেশী-বিদেশী পর্যটকদের উপস্থিতিও বাড়তে শুরু করেছে। সেখানে একদল বিদেশী পর্যটক পর্যটন সেতুর সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন। তবে দীর্ঘ দিন ধরে সেতুটি পানিতে ডুবে থাকায় সেতুর যেসব পাটাতন নষ্ট হয়েছে সেগুলোরও মেরামতের কাজ করতে দেখা গেছে।
রাঙামাটি সরকারী পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, গেল রোববার থেকে সেতুর উপর দিয়ে পর্যটকদের পারাপার খুলে দেয়া হয়েছে। তবে দীর্ঘ দিন ধরে পানিতে ডুবে থাকার ঝুলন্ত সেতুর অনেক পাটাতন নষ্ট হয়েছে। সেগুলো ইতোমধ্যে মেরামতের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আসন্ন পর্যটন মৌসুমে রাঙামাটিতে পর্যটকরা নিরাপদে পারাপার ও ঝুলন্ত সেতু অপরুপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ৭০ দশকের শেষের দিকে সরকার রাঙামাটি জেলাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষনা করে। ১৯৮৪ সালের দিকে পর্যটন কর্পোরেশন পর্যটকদের সুবিধার্থে ও মনোরঞ্জনের জন্য দুই পাহাড়ের মাঝখানে তৈরী করে এই আকর্ষনীয় ঝুলন্ত সেতুটি। এ ঝুলন্ত সেতুর পূর্বের দিকে তাকালে দেখা মিলে অপূর্ব স্বচ্ছ জলরাশিসহ ছোটবড় বিস্তৃর্ণ নৈসর্গিক সবুজ পাহাড়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.