শান্তি-সম্প্রীতি-উন্নয়ন- এ শ্লোগানকে সামনে রেখে সোমবার রাঙামাটির জুড়াছড়িতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় জমায়।
জুরাছড়ি জোনের আর্দশ একুশ এর ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নৌকা বাইচের উদ্ধোধক ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সানাউল হক।
জুরাছড়ি জোন অধিনায়ক লেপ্টেনেন কর্ণেল কে এম ওবায়েদুল হকের সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,মেজর মোরশেদ, বনযোগীছড়া চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, স্থানীয় হেডম্যান করুনা ময় চাকমা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমাসহ সেনা বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা।
কাপ্তাই হ্রদের দুই ধারে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে শত শত নারী-পুরুষের ঢল নামে। হ্রদের দুই ধারে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দর্শকদের টান টান উত্তেজনার মধ্যেই বাইচের নৌকার মাঝিরা হাঁক দিলেন হেঁইয়ো রে হেঁইয়ো। দর্শকদের হর্ষধ্বনি আর হাততালি বাড়তি উৎসাহ জোগিয়ে দিয়েছে প্রতিযোগী দলকে। জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১০টি প্রতিযোগিতা দল নৌকা বাইচে অংশগ্রহণ করেছে।
প্রতিযোগীতায় জুরাছড়ি উপজেলার কতরখাইয়া গ্রামের দলের নৌকা প্রথম স্থান অধিকার করে। বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়ন থেকে আসা দলের নৌকা দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান লাভ করে রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের রাজ মুনি পাড়া দলের নৌকা।
পরে প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ কালে রাঙামাটি রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সানাউল হক। সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এর আগে আদর্শ একুশ এর ৪১তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী উপলক্ষে যক্ষা বাজার ও জোন সদর দপ্তরে স্থানীয় হেডম্যান কার্ব্বারী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি রাঙামাটি রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সানাউল হক বলেন, নৌকা বাইচ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খেলা। যুগে যুগে গ্রাম বাংলায় এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। নৌকা বাইচ মানুষের জনপ্রিয় খেলা হিসেবে বিনোদন দিচ্ছে। এ খেলাকে কেন্দ্র করে গ্রাম বাংলার সকল মানুষ একত্রে মিলিত হয়।
তিনি বলেন, এলাকায় বিনোদনের মাধ্যমে শান্তি সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সেনা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.