সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মুকুল কান্তি চাকমা অপহরণ মামলায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমাসহ চার জনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন কবির-এর আদালতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ৪জন হাজির হয়ে জামিন আবেদন জানালে আদালত তাদের না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের জন্য এই নির্দেশ প্রদান করেন।
জানা যায়,গেল ৩০ মে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন মারিশ্যা এলাকার বাসিন্দা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মুকুল কান্তি চাকমা উপজেলার লাইল্যাঘোণা গ্রামে বেড়াতে গেলে তাকে একদল দুর্বৃত্ত অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার কোন সন্ধান না পাওয়ায় অপহৃতের বড় মেয়ে নমিশা চাকমা বাদী হয়ে গেল ৭ জুলাই বাঘাইছড়ি থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এতে মামলায় বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক বড়ঋষি চাকমাস, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি প্রভাত কুমার চাকমা(কাকলী বাবু), সহ-সাধারন সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা(দ্বীপ বাবু) ও বাঘাইছড়ি ইউপি’র ওয়ার্ড মেম্বার অজয় চাকমাসহ ৯জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের পর বড় ঋষি চাকমাসহ অন্যান্যরা উচ্চতর আদালত থেকে চার সপ্তাহের জন্য জামিন নেন। মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
পুলিশের রাঙামাটি সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার চিত্তরঞ্জন পাল জানান, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মুকুল কান্তি চাকমার অপহরণ মামলায় এক নম্বর আসামী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বড় ঋষি চাকমাসহ অন্যান্যরা মঙ্গলবার রাঙামাটির আদালতে আত্নসপর্ন করতে আসলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, উপজেলা পরিষদ বড় ঋষি চাকমার বিরুদ্ধে ২০১২ সালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলা রয়েছে। তিনি উক্ত মামলায় একজন ওয়ারেণ্টভূক্ত আসামী ছিলেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.