আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে তিন ব্যাপী রাঙামাটির সাজেক থেকে বান্দরবানের থানচি পর্ষন্ত ৩শ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু ট্যুর ডি সিএইচটি মাউন্টেইন বাইক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্ণফুলী সন্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, এই প্রতিযোগিতার আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনে পাহাড়ে নতুন মাত্রা সংযোজন, পার্বত্যাঞ্চলের অ্যাডভেঞ্চার ক্রীড়া পর্যটনকে অগ্রসর করা, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে মাউন্টেইন বাইকের সাথে পরিচিতিকরণ, আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনে সুযোগ সৃষ্টি,নতুন প্রজন্মকে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে সক্ষমতা বৃদ্ধি, নিরাপদ ও টেকসই বাহন নিসেবে মাউন্টেন বাইককে পরিচিতিকরণ,পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী বাহন হিসেবে মাউন্টেন বাইককে প্রচলন ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়া।
সংবদ সন্মেলন আরো বলা হয়, সারাদেশ থেকে ১শ জন প্রতিযোগিতা অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চল থেকে ৪৫ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন পাবে ৩ লাখ টাকা, প্রথম রানার আপ পাবে ১ লাখ টাকা এবং বিশেষ পুরুস্কার হিসেবে দেড় লাখ টাকা দেয়া হবে।
সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, আগামী ২৮ ডিসেম্বর সাজেকে মাউন্টেইন বাইক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদ এমপি। এসময় খাদ্যমন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থাীয় কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, উপজাতীয় শরনার্থী ভিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য সচিব মোঃ সফিকুল আহম্মদসহ সামরিক-বেসামরিক উর্দ্ধতন কর্মকর্তরা। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বান্দরবানে থানচিতে সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরুস্কার বিতরণ করবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ব্যবস্থপনায় এবং বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, সেনাবাহিনী,বিজিবি,তিন জেলা প্রশাসন পুলিশেরসহায়তায় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সংবাদ সন্মেলনে আরো বলা হয়, ঙ্গবন্ধু ট্যুর ডি সিএইচটি মাউন্টেইন বাইক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তরুন প্রজন্মকে দেশীয় বিভিন্ন ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারনা অর্জন, অ্যাডভেঞ্চার ক্রীড়ার মাধ্যমে সুস্থ দেহ ও সুন্দর মনের অধিকারী জীবন যাপন এবং বিশ^ব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রতিক্রিয়া কমিয়ে আনতে উৎসাহিত করা। এ দীর্ঘ পাহাড়ী জনপদ তথা আকা বাকা পাহাড়ী পথ বাইকেল আতিক্রম করার মধ্য দিয়ে অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।
সংবাদ সন্মেল বলা হয়, প্রথম দিন ২৮ ডিসেম্বর প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া দলটি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি হয়ে ১৩৯ কিলোমিটার অতিক্রম করে রাঙামাটি চিং হ্লা মং মারী ষ্টেডিয়ামে অবস্থান করবে। দ্বিতীয় দিন ২৯ ডিসেম্বর রাঙামাটি চিং হ্লা মং মারী ষ্টেডিয়াম থেকে ৯০ কিলোমিটার অতিক্রম করে বান্দরবান ষ্টেডিয়ামে অবস্থান করবে এবং তৃতীয় দিন ৩০ ডিসেম্বর বান্দরবান ষ্টেডিয়াম থেকে ৮০ কিলোমিটার অতিক্রম করে থানচির সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হবে।
সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য(প্রাশসন) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান নূরুল আলম নিজামী, উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা আশীষ কুমার বড়–য়া ও হারুন অর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.